বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নরসিংদীতে হট কেক পাঠকের প্রথম পছন্দ

সঞ্জিত সাহা, নরসিংদী

নরসিংদীতে হট কেক পাঠকের প্রথম পছন্দ

পত্রিকা বিক্রেতা মো. সাজিদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এত চাহিদাসম্পন্ন পত্রিকা আর দেখা যায়নি। ভবিষ্যতেও এত চাহিদাসম্পন্ন পত্রিকা হবে কিনা সন্দেহ আছে।’ সাজিদ ৩০ বছর ধরে নরসিংদীতে পত্রিকার ব্যবসা করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেটে হট কেক হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। বর্তমানে দেশে প্রকাশিত যত পত্রিকা আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এক কথায় পাঠকের প্রথম পছন্দ এই পত্রিকা। এর প্রধান কারণ হচ্ছে পত্রিকাটির মূল্য ৫ টাকা। সংক্ষিপ্ত আকারে সব নিউজ পাওয়া যায়। গুণমান এবং গেট-আপ-সেট-আপ ভালো। সকালেই পত্রিকা বিক্রি হয়ে যায়। দু-চারটা হঠাৎ থাকলেও তা ১০টা-১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এই পত্রিকার কোনো ফেরত সংখ্যা হয় না। যদি ফেরত সংখ্যার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এর সার্কুলেশন আরও বাড়বে।’ পত্রিকার এজেন্ট মো. শরিয়ত উল্লাহ বলেন, ‘শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের কাছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা বেশি। কারণ পত্রিকাটির দাম কম। ১০ টাকা দামের পত্রিকা অনেকেই কিনতে চান না। তবে বয়স্ক লোকেরা ১০ টাকা দামের পত্রিকা বেশি কেনেন। আর কম বয়সের লোকেরা ৫ টাকা দামের পত্রিকা বেশি কেনেন। বয়স্ক লোকেরা সারা দিন বাড়িতে বসে থাকেন বলে তাদের ১০ টাকা দামের পত্রিকার দরকার হয়।’ শরিয়ত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে নিউজ থাকে ভালো। বিশেষ করে এতে নিউজের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো তুলে ধরা হয়। সে কারণে কম বয়সী লোকের সময় নষ্ট হয় না। তারা দেশের সব খোঁজখবর রাখতে পারছেন এই পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে। এসব কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন সবার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এর আগে এমন আকাশছোঁয়া উচ্চতায় কোনো পত্রিকা পৌঁছায়নি। বর্তমানে সবাইকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ প্রতিদিন শীর্ষে চলে গেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফেরত সংখ্যা নেওয়া হয় না। আমাদের মফস্বলে কোনো ফেরত হয় না। কারণ একটা পত্রিকার দাম ২টাকা ৫০ পয়সা। এটা পৌঁছাতে কোম্পানির গাড়ি ভাড়া আছে, আবার ফেরত দিলেও ভাড়ার খরচ আছে। তাই সব দিক বিবেচনা করেই হয়তো এটা ফেরত নেওয়া হয় না। তবে আমাদের আরেকটু সুবিধা দিলে, আমার বিশ্বাস এর সার্কুলেশন আরও বাড়বে।’

সর্বশেষ খবর