মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

আলোচনায় আশানুরূপ অগ্রগতি নেই

নিজামুল হক বিপুল, কাতোভিস, পোল্যান্ড থেকে

এক দিন বিরতির পর গতকাল শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব। এখন থেকে আগামী এক সপ্তাহ চলবে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বৈঠক। এসব বৈঠক থেকেই প্যারিস রুল বুক বাস্তবায়নসহ অন্য যেসব বিষয়ে গত আট দিন আলোচনা হয়েছে, তর্কবিতর্ক হয়েছে, খসড়া তৈরি হয়েছে সেসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত আসার খবর পাওয়া যায়নি। জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের জলবায়ু প্যারিস চুক্তির রুল বুক বাস্তবায়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই তহবিলে ২০২০ সাল থেকে অর্থ দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের সম্মেলনেই এ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত আসতে হবে। আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিত হবে রাজনীতিকদের। এজন্য বিশ্বনেতাদের একমত হতে হবে। কিন্তু এবারের সম্মেলনে এ রকম দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহেও তেমন অগ্রগতি হয়নি এ বিষয়ে। শুধু জলবায়ু তহবিল নয়, ন্যাশনাল ডিটারমিন্ট কনটিবিউশন গাইডলাইন প্রেডিকটেশনও (এনডিসি) এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। একইভাবে প্রেডিকটেবল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স বিষয়েও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। কেউ এখন পর্যন্ত বলেনি কে কত দেবে। গত এক সপ্তাহে এসব ইস্যুতে ধনী রাষ্ট্র ও দরিদ্র বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর প্রতিনিধির মধ্যে তুমুল দরকষাকষি হলেও কোনো প্রকার খসড়া তৈরি হয়নি। এদিকে কাতোভিসের সম্মেলনস্থলের সামনে শনিবার বিশাল বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের সহস্রাধিক তরুণ-তরুণী। দীর্ঘ সময় ধরে চলা ওই বিক্ষোভে একটাই দাবি জানানো হয়েছে— তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। একইসঙ্গে গ্যাস নির্গমন কমানোর দাবি জানান তারা।

সর্বশেষ খবর