ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু কোনো রাজনীতি নেই।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলা মুশকিল। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি, বিদু্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খুশির খবর। কিন্তু ব্যাংকিং খাতে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও খেলাপি ঋণে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি, ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা। মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ জোরদার করা। স্বাস্থ্য খাতে অধিক মনোযোগী হওয়া। শিক্ষা নৈতিকতা সমৃদ্ধ করে বলে এ খাতকে ঢেলে সাজিয়ে কলঙ্কমুক্ত করা। দলের কার্যক্রম প্রসঙ্গে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট দেশের হক্কানি ওলামায়ে কিরাম ও ধর্মপ্রাণ জনতার শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম। সারা দেশে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে মানবতার কল্যাণ, সামাজিক ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক মদিনার আদলে সমৃদ্ধ শান্তিবাদী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের চার মাস আগেই ঘোষণা করেছিলাম আমরা নির্বাচন করব না। করিওনি। পরিষ্কার করে বলছি আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোনো জোটেই আমরা নেই।
কিন্তু একটি মিথাচারী চক্র জনগণকে বিশেষত আলেম-ওলামাদের বিভ্রান্ত ও আমাদেরকে বিতর্কিত করতে, ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে জঘন্য মিথ্যা, বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, প্রতিটি হক্কানি ইসলামী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিদ্যমান জোটগুলোর বাইরে আলাদা একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। আমরা তাতে সফল হতে পারিনি। কিন্তু আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারা ঠিক রেখেই দেশ, জাতি ও ইসলামের বৃহত্তর কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হতে পারতাম। নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসলামী দলগুলো এ সহজ বিষয়টা দ্রুত উপলব্ধি করতে পারলেই দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে। নির্বাচনের পর দলগুলোর কর্মকাণ্ড নেই, তা একদমই ঠিক নয়। সবাই যার যার মতো কাজ করছে। সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, বড় নাজুক সময় পার করছি আমরা। বিবেক দিয়ে কোনো বিষয় গভীরভাবে চিন্তা করছি না। মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া যা দেখায় আমরা চোখে তাই দেখি, যা বলে তাই নিজের মত বা ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করি। অনেক নিচে নেমে গেছে আমাদের সচেতনতার পর্যায়।
