শিরোনাম
রবিবার, ১২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
আইন আদালত

আদালতে জমা দেওয়া দুটি দলিলই ছিল ভুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

জয়নাল আবদিন ও তার ছেলে আবদুল গনি আদালতে দুটি দলিল দাখিল করে জানিয়েছেন জমি তাদের। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠায় নিবন্ধন অধিদফতরে। গত ৭ মে নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাই কোর্টকে জানানো হয়েছে দুটি দলিলই ভুয়া। গত ২৪ এপ্রিল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ দলিল দুটি যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। মুন গ্রুপের মালিকানাধীন রাজধানীর পাইকপাড়া মৌজার (৫৫৫ নং দাগের) ১.৩৬ শতাংশ জমি নিজেদের দাবি করে প্রতারক জয়নাল-গনি আদালতে দলিল দুটি দাখিল করেছিলেন। এর আগেও এই দুই প্রতারক জমিটি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন আদালতে গিয়ে ব্যর্থ হন। হাই কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সার্বিক ও আদি অধিক্ষেত্র) বরাবরে নিবন্ধন অধিদফতরের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা রেজিস্ট্রার মানিকগঞ্জ ও জেলা রেজিস্ট্রার ঢাকা এর প্রতিবেদন ও তর্কিত দলিল দুটি নিরীক্ষান্তে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত) সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে অফিসে রক্ষিত বালাম ও নকলবিহীন দলিল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই অফিসে রক্ষিত ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কোনো রেকর্ডপত্রের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তফসিলভুক্ত সম্পত্তি ঢাকার তেজগাঁও ও ৮১৬ তৌজিভুক্ত মৌজার ২৩৭নং পাইকপাড়াস্থিত সিএস খতিয়ান ৩৮৭নং মোট জমি ১.৩৬ শতাংশের কাতে ১.২০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও তর্কিত সময়ে বাংলাদেশের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করার অধিক্ষেত্র ছিল তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রভুক্ত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জমি থাকতে হবে। এ বিষয়ে তর্কিত দলিলে প্রদর্শিত স্থানীয় সম্পত্তির মালিকানার বিষয়টি যাচাই করা হলে দলিল দুটি পাইকপাড়া অধিক্ষেত্রভুক্ত কোনো সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি না হয়ে কেন যুদ্ধের সময় আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয়, এমন প্রশ্ন সামনে আসে। এ ছাড়া একই বছরের একই তারিখ ও নম্বরে দুটি দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বিধায় তর্কিত দলিল দুটি পরবর্তী চিন্তার ফসল, যা সৃজিত বলে প্রতীয়মান হয়।

সর্বশেষ খবর