শনিবার, ১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুক্তিপণের জন্য সহপাঠীকে হত্যা

তিন বন্ধু আটক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

মুক্তিপণের জন্য সহপাঠীকে হত্যা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মুক্তিপণের জন্য তিন বন্ধু মিলে সহপাঠীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ফারদিন আলম রূপক (১৬) ভৈরব বাজারের টিনপট্টি এলাকার বিপ্লব মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবুবকর সিদ্দিকের বিল্ডিংয়ের ছাদে হত্যার ঘটনাটি    ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের তিন বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, একই এলাকার করিম মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বি পিয়াল (১৬), শাহজাহান পাটোয়ারীর ছেলে আরাফাত পাটোয়ারী রাব্বী (১৬) ও উবায়দুল কবির খানের ছেলে রেজাউল কবির খান (১৭)। নিহত রূপক ও আটক তিন বন্ধু ভৈরব শহরের কে বি পাইলট হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পাস করেছে। পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯টার দিকে রাব্বী তার বন্ধু রূপককে মোবাইল ফোনে জরুরি কথা আছে বলে আবুবকর সিদ্দিকের বিল্ডিংয়ের ছাদে আসতে বলে। এর আগে সে তার অপর দুই বন্ধু পিয়াল ও রেজাউল কবিরের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় রূপককে ডেকে এনে তার বাবার কাছে মুক্তিপণের টাকা চাইবে। এদিকে রূপক বন্ধুর ফোন পেয়ে দ্রুত ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে চলে আসে। রূপক আসার পর তিন বন্ধু মিলে তাকে জাপটে ধরলে সে বাঁচার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তারা রূপকের গলায় ছুরি চালালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর রাতেই তিনজন মিলে লাশ বস্তায় ভরে ছাদে রেখে সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে যায়। গতকাল সকালে বিল্ডিং মালিক ছাদে গিয়ে বস্তাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতিক আহমেদ সৌরভ ও পৌর কাউন্সিলর দীন ইসলামকে ফোনে জানান।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং নিহত রূপকের তিন বন্ধুকে আটক করে। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেছুর রহমান জানান, রূপক বন্ধুর ফোন পেয়ে যাওয়ার সময় তার বাবার কাছে বন্ধুর নাম বলে যায়। এ ফোনের সূত্র ধরেই তাদের আটক করা হয়। তিনি জানান, মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্যই তিন বন্ধু মিলে রূপককে হত্যা করে। তারা পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে রূপকের পিতা বিপ্লব মিয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর