বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
আদর্শিক লড়াই চলবে আমৃত্যু

ড. কাজী এরতেজা হাসানকে হাই কোর্টে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. কাজী এরতেজা হাসানকে হাই কোর্টে তলব

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে ইতিহাস বিকৃতি চ্যালেঞ্জ করা রিটে তথ্য গোপনের অভিযোগে রিট আবেদনকারী ড. কাজী এরতেজা হাসানকে তলব করেছে হাই কোর্ট। তিনি ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইমস পত্রিকার সম্পাদক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য ও ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক। আগামী ৩০ জুলাই তাকে সশরীরে হাজির হয়ে তথ্য গোপনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন হাই কোর্টের সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (অ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। পরে আল আমিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থটি প্রকাশনার পর পরই এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যত্যয় দেখা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গ্রন্থটির বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং গ্রন্থটি রিভিউর জন্য একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া ওই সব পদক্ষেপ গোপন করে ড. কাজী এরতেজা হাসান রিটটি দায়ের করেন। তাই শুনানিতে তথ্য গোপনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবীরা তুলে ধরলে হাই কোর্ট বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে ড. কাজী হাসানকে তলব করেন। প্রসঙ্গত, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তর্ভুক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে বলে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেছিল হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। হাই কোর্টের আদেশের পর ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ‘হাই কোর্টের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি অবশ্যই ৩০ জুলাই আদালতে হাই কোর্টে যাব। কিন্তু আমি কোনো তথ্য গোপন করে কিছু করিনি। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নষ্ট করার জন্য একটি মহল গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। তার প্রতি অবমাননার বিচারের দাবিতে আমি আমৃত্যু লড়াই করে যাব।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক সন্তান হিসেবেই ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে রিট করেছি। এরতেজা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হয়েছে, এটা আদালতেই প্রমাণিত। রিট করার পরই বইটির বাজারজাত না করার নির্দেশনা দেয় হাই কোর্ট। যদি বইটি বাজারজাত করা না হতো তাহলে আমার হাতে কীভাবে এলো? এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থটি কেন কালরাত ২৫ মার্চেই মোড়ক উন্মোচন করা হলো? এর পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি জানান এরতেজা হাসান।

সর্বশেষ খবর