অবশেষে দিনমজুর ও দরিদ্র শ্রেণির লোকদের কথা চিন্তা করে প্রস্তাবিত নতুন বাজেটের অর্থ বিলে প্রস্তাব করা বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই কর শনাক্ত নম্বর (টিআইএন) দিতে হবে এমন প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ ধরনের প্রস্তাব পাস হলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ হয়রানির শিকার হবে। পাশাপাশি এতে তাদের কর্মকালের অপচয় হবে এবং তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পরিপন্থী বলে মনে করেন এই মন্ত্রী। গতকাল অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ইতিমধ্যে ৯৩ ভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা দেশে তিন কোটি ৩৪ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৬৪ লাখ। আরইবির এই গ্রাহকের মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ লাইফলাইন গ্রাহক (যারা মাসে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে)। এই লাইনলাইফ গ্রাহকরা খুবই দরিদ্র। অনেকেই দিনমজুর। তাদের পক্ষে টিআইএন করা কষ্টদায়ক ও অমানবিক। তাছাড়া টিআইএন থাকলে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। যা ওই দরিদ্র শ্রেণির লোকদের জন্য হয়রানিমূলক, কর্মকালের অপচয় ও সেই সঙ্গে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে ও পুরনো গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল দিতে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবে স্বল্প বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়বেন এমন আশঙ্কায় ২০১৯-২০ সালের নতুন বাজেটে এই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সব মধ্যবিত্ত, সচ্ছল ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু যাদের মাসে দেড় থেকে দুইশ টাকা বিদ্যুতের খরচ হয়, এরা হতদরিদ্র, সে কারণে তাদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। এসব মানুষকে টিআইএন দেওয়াটা বাধ্যতামূলক করলে ভোগান্তিতে পড়বেন তারা। দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন মফস্বল শহর ও গ্রামগুলোতে পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ডের (আরইবি) সমিতিগুলোর। আরইবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৬৪ লাখ। আর আরইবি অঞ্চলে মাসে মাত্র ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা রয়েছেন এক কোটি ৫ লাখ। এসব গ্রাহককে সরকার হতদরিদ্র বিবেচনা করে তাদের বিদ্যুতের মূল্য ইউনিট প্রতি তিন টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এদের একটি বড় অংশ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা।
শিরোনাম
- প্রথমবারের মতো সৌর শক্তি ইইউ’র বৃহত্তম একক শক্তির উৎসে পরিণত
- গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল
- খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা
- থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫
- মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
- পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ
- শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন
- ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
- ৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার
- ৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি
- গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
- রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
- সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
- খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
- ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন ফের গ্রেপ্তার
- দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই টিআইএন প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুরোধ
আনিস রহমান
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর