শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাচে-গানে বর্ষাবরণ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নাচে-গানে বর্ষাবরণ

সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকাও বৃষ্টি¯œাত। দুপুর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টির হানা। ভিজে একাকার প্রকৃতি। ভেজা সন্ধ্যায় গানের সুর, নৃত্যের ছন্দ ও কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে বর্ষা উদযাপন করল শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আসরে শিল্পের সুষমা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীরা। বৃষ্টিধারা ও সংগীতের সুরের অপূর্ব সংমিশ্রণের যন্ত্রসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বর্ষা মঙ্গল’ নামের মনোমুগ্ধকর এই আসর। শুভেচ্ছা বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ষড়ঋতুর দেশ আমাদের। দুই মাস পর পর ঋতু এসে দেশের রূপের সুষমায় ভিন্নতা এনে দেয়। বৈচিত্র্যে ভরা এমন দেশ পৃথিবীতে আর কোথাও নেই।

মন মোর মেঘের সঙ্গী, এসো হে সজল শ্যাম ঘন দেওয়া, অমৃত  মেঘের বারি, আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে এবং গহন ঘন ছাইলো ইত্যাদি গানগুলো সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা। এরপর পরদেশী মেঘ, শাওন গগন  ঘোর ঘনঘটা এবং বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা।

নাচে, গানে ও আবৃত্তিতে বর্ষা ঋতুই যেন মূর্ত হয়ে উঠল মিলনায়তনজুড়ে।

অনুষ্ঠানে একক কণ্ঠে মোহনা দাস গেয়ে শোনান ‘মেঘ বলছে যাবো যাবো’, হিমাদ্রী রায়ের কণ্ঠে গীত হয় ‘সখী বাঁধলো বাঁধলো ঝুল নিয়া’, সোহানুর রহমান পরিবেশন করেন ‘এই মেঘলা দিনে একলা’, সূচিত্র সূত্রধর গেয়ে শোনান ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’,  রোখসানা আক্তার রূপসার কণ্ঠে গীত হয় ‘আষাঢ় মাইসা ভাষা পানি  রে’, রাফি তালুকদার গেয়ে শোনান ‘শ্রাবণের মেঘগুলো’। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান পরিবেশন করেন নবনীতা, নজরুলের বর্ষার গান গেয়ে শোনান ইয়াসমীন মুশতারী, আধুনিক গান পরিবেশন করেন রফিকুল আলম এবং লোকগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী আবু বকর সিদ্দিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পী কৃষ্টি  হেফাজ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর