শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঈদ ঘিরে মসলার দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ ঘিরে মসলার দাম চড়া

কোরবানির ঈদ ঘিরে এবারও মসলার বাড়তি দরে বাজার গরম। উত্তাপ ছড়িয়েছে সবজির বাজারেও। ইলিশসহ প্রায় সব ধরনের মাছের দামই বেড়েছে। ফলে পকেট থেকে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এসব পণ্যের বাড়তি দাম সম্পর্কে বরাবরের মতোই অজুহাতের শেষ নেই বিক্রেতাদের।

রাজধানীর হাতিরপুল, মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেট, পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া, মালিবাগ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে বেশ কয়েক পদের মসলার দাম। বিক্রেতারা বলছেন, মসলা আমদানিতে অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের কারণেই দাম বেড়েছে। তবে আদা-রসুন বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বছরের বাজেটের পর বেশ কিছু মসলার দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজিতে ১ হাজার টাকা বেড়ে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। ঊর্ধ্বমুখী জিরা, দারুচিনি ও গোলমরিচের দাম। মানভেদে জিরা কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে জিরা ৩৮০ থেকে ৫০০ ও কিশমিশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বর্তমানে কালো গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ আর সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। প্রতি কেজি জয়ফল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, জয়ত্রি ২ হাজার, লবঙ্গ ৮৫০, কাঠবাদাম ৮৫০, তেজপাতা ১৫০ থেকে ১৮০ ও পেস্তাবাদাম ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মতিঝিলের মসলা বিক্রেতা আরিফ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মসলার দাম বাড়ছে। ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেনা বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি রাখতে হচ্ছে।

পুরান ঢাকার পাইকারি মসলা বিক্রেতা সিজান অ্যান্ড ব্রাদার্সের বিক্রেতা দাবি করেন, গত সপ্তাহে মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মসলার সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম বাড়ার কোনো কারণই নেই।

রাজধানীর বাজারগুলোয় গত সপ্তাহে চীনা রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, যা এখন ১৭০-১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে চড়া চীনা আদার দামও। ১২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে তা ১৫০-১৬০ টাকায় উঠেছে। ৩০ টাকার দেশি পিয়াজ কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এদিকে সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে ইলিশসহ প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। মাঝারি ইলিশ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি শসা ৬০ টাকা চাওয়া হয়। অবশ্য দেশি শসার কেজি ৮০-১০০ টাকা। টমেটোর কেজি ১০০-১২০ টাকা। সব মিলিয়ে এ ঈদে দরকারি সব পণ্যই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর