দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট এম এ আফজলকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। প্রয়াত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুকে কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপিকে কমিটির সদস্য করা হয়। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে সৈয়দ টিটু ও এমপি তৌফিকের রয়েছে পৃথক নিজস্ব বলয়। জেলা কমিটির বাইরে রাষ্ট্রপতির মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের নেতৃত্বেও রয়েছে একটি অংশ। এমন দ্বিধাবিভক্তি দলের তৃণমূলেও বিদ্যমান। এ অবস্থায় মাঝেমধ্যেই জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত এবং সামাজিক পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্তি অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও গোপনে অনেক নেতাই অবস্থান নেন। ফলে অনেক উপজেলাতেই দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করতে পারেননি। অপরদিকে জেলা কমিটি এখনো সবগুলো উপজেলা কমিটির সম্মেলন করতে পারেনি। অনেক উপজেলা কমিটির মেয়াদ পেরিয়ে ১৫-২০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে সম্মেলন করতে পারছে না জেলা কমিটি। সম্মেলন না হওয়ায় দলের ত্যাগী ও তরুণ নেতারা দলে জায়গা পাচ্ছেন না। এ কারণে বহিরাগত ও সুবিধাভোগীরা দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে নিজেরা ফায়দা লুটছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, জেলার নেতাদের মধ্যেই ঐক্য নেই। তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক, এমনকি তৃণমূলের কমিটির প্রতিও জেলার নেতারা কোনো খোঁজখবর নেন না। ফলে জেলার নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা দিন দিনই নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ও জাতীয় কর্মসূচিগুলোতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণ খুব একটা দেখা যায় না। দায়সারাভাবে পালিত হয় এসব কর্মসূচি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটিতে আমরা সবাই বয়স্করা দায়িত্ব পালন করেছি। সে সময় নেতারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। দলীয় রাজনীতিতে আমরা কোনো গ্রুপিং বা পক্ষ সৃষ্টি করতাম না। এখন সিনিয়র আর জুনিয়রদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। পদ-পদবি পেয়ে তরুণদের কেউ কেউ রাতারাতি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তারা পৃথক নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করছেন। এ কারণেই দলে অনৈক্য হচ্ছে।
শিরোনাম
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
- দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
- ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, দায়ী পাকিস্তান: তালেবান
- ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ
আওয়ামী লীগে নিজস্ব বলয়ে ব্যস্ততা নেতাদের
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর