রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শরতের ভেজা সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের বর্ষামঙ্গল

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শরতের ভেজা সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের বর্ষামঙ্গল

বর্ষা নিয়ে কবিগুরুর রয়েছে অসামান্য সৃষ্টিকর্ম। কথা ও সুরে তিনি কখনো বাদল দিনকে আহ্বান জানিয়েছেন আবার কখনো প্রিয়তমার প্রতি গভীর অনুরাগও তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন সময়ে নানা রূপে বর্ষা এসেছে কবির সৃষ্টিকর্মে। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল, ‘আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে’, ‘এসেছিনু দ্বারে তব শ্রাবণও রাতে’, ‘নিবিড় মেঘের ছায়ায় মন দিয়েছি মেলে’, ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’- এমন সৃষ্টিকর্মে বর্ষার প্রতি তার হৃদয়ের আকুলতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কবিগুরু। বিভিন্ন সময়ে নানা রাগে নানা কৌশলে কবির কাছ থেকে বর্ষা নিয়ে ষোলটি গান সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের গানের স্বরলিপিকার শৈলজারঞ্জন মজুমদার। গানগুলোর সমষ্টি নিয়ে কবির জীবদ্দশায় ১৯৩৯ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয় গীতিআলেখ্য ‘বর্ষামঙ্গল’। আর সেই গীতিআলেখ্যটি এবার নৃত্যালেখ্য রূপে উপস্থাপিত হয়েছে ঢাকার মঞ্চে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে পরিবেশিত হয় ‘বর্ষামঙ্গল’ নামের এই নৃত্যালেখ্য। এতে অংশ নেয় কলকাতার শান্তনিকেতন আশ্রমের শিল্পীরা। গানের সঙ্গে নাচের মুগ্ধতায় অনন্য হয়ে উঠেছিল শরতের ভেজা সন্ধ্যা। পিনপতন নীরবতায় রবীন্দ্রানুরাগীরা উপভোগ করলেন দেড় ঘণ্টার এ আয়োজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একান্ত সহচর সংগীতাচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই পরিবেশনার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন চয়নিকা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘সুরের গুরু দাও, দাও সুরের দীক্ষা’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে বাংলাদেশের শিল্পীরা। ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’, ‘শ্রাবণের গগনের গায়’ ইত্যাদি ষোলটি গানের সঙ্গে নৃত্যের পরিবেশনায় সাজানো ছিল এ আয়োজন। শিখা চ্যাটার্জি, শুভশ্রী বসু ও ড. মানস ভূলের কণ্ঠে গীত গানগুলোর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন তন্ময় পাল, কৃষ্ণেন্দু দে, সহলেী নন্দী, ঐন্ত্রিলা পাল ও তানিসা সিংহ। ইসরাফিল আলম এমপির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যাভিনেতা আতাউর রহমান, বিশ্বভারতীর দুই প্রাক্তন উপাচার্য ড. সুজিত কুমার বসু ও ড. স্বপন কুমার দত্ত এবং মনিপুরী নৃত্যশিল্পী গুরুদেবযানী চালিহা।

শুরু হচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা : এ বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসছে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসর। সারা বিশ্বের সেরা সুন্দরীরা অংশ নেবেন এ প্রতিযোগিতায়। সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশে শুরু হলো ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিস ইউনিভার্সজয়ী ভারতীয় সুন্দরী ও অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। আগামী ২৩ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় প্রতিযোগিতার সেরা ১০ প্রতিযোগীকে নিয়ে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। অন্যান্য বিচারকদের মধ্যে থাকবেন তুতলী রহমান, রুবাবা দৌলা, আতাহার আলী খানসহ ১০ জন। বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন বিচারক হিসেবে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান রেজওয়ান বিন ফারুক।

সর্বশেষ খবর