রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ৫০০ স্পট জমজমাট

চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক জুয়ার স্পট। স্পটগুলোয় রাত-দিন চলে জুয়া। এসব স্পটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুয়ার স্পটগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। এসব স্পটে রাত-দিন সমান তালেই চলে জুয়া। এ ছাড়া ক্রিকেট ও ফুটবল-কেন্দ্রিক অসংখ্য জুয়াড়ি চক্র গড়ে উঠেছে নগর ও জেলায়। এসব চক্র বল, ওভার, পাওয়ার প্লে ও ইনিংস-কেন্দ্রিক ধরে বাজি। এ চক্রের হাতে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন দেশের পাইকারি বাজারের প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় কমপক্ষে ৫০০ জুয়ার স্পট রয়েছে। এসব স্পটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, একটি জুয়ার আসর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন দুজন সংসদ সদস্য! তারা ওই স্পট থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ টাকা নেন। এ ছাড়া অন্যান্য স্পট থেকে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা মাসহারা নেন।’

সিএমপির দেওয়া তথ্যমতে, নগরে ৩২টি জুয়ার স্পট রয়েছে। তবে কোনো ক্যাসিনো নেই। বাস্তবে নগরে ২ শতাধিক জুয়ার স্পট রয়েছে। এর অন্যতম মোহামেডান ক্লাব, আবাহনী ক্লাব, চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, অফিসার্স ক্লাব, ওয়াজি উল্লাহ ইনস্টিটিউট, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ক্লাব, বন্দর রিপাবলিক ক্লাব, পুলিশ প্লাজা। এ ছাড়া খাতুনগঞ্জ, বিআরটিসি, পাহাড়তলী, জিইসি এলাকায় অসংখ্য জুয়ার স্পট রয়েছে। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় রয়েছে কমপক্ষে ৩০০ জুয়ার স্পট। এসব স্পট থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ প্রতিদিন চাঁদা নেয়। যদিও জেলা পুলিশের তালিকায় জুয়া কিংবা ক্যাসিনোর কোনো অস্তিত্ব নেই।

এ ব্যাপারে সিএমপি কমিশনার মাহবুুবর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোনো ক্যাসিনো নেই। তবে জুয়ার স্পট রয়েছে। এরই মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর