রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চীনারা বিদেশে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে

প্রতিদিন ডেস্ক

চীনের কিছু কিছু নাগরিক ইদানীং দুর্বৃত্তপনায় জড়িয়ে পড়েছে। তারা বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধ করছে। নেপাল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে তারা যেসব জঘন্য কাজ করছে সেগুলোর কিছু কিছু সম্প্রতি মিডিয়ায় ফাঁস হয়। যেমন- নারী পাচার, চোরাচালান, প্রতারণা, সাইবার ক্রাইম। জেং সিয়াং দং, জিয়াং দং হুই, কাং জিয়াং পিং, কুইন লিয়াং নামে চারজন চীনা আগস্ট মাসে নেপালে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এরা নেপালি মেয়েদের বিয়ে করে চীনে নিয়ে যাচ্ছিল। এদের কাছে ছিল বিয়ের ভুয়া দলিল। দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে নেপালি ২২ লাখ রুপি, চীনা ২৩০০ ইউয়ান, ১৯০ মার্কিন ডলার। একই ধরনের অপরাধে জড়িত চীনাদের খবর পাকিস্তানি পত্রপত্রিকায় এপ্রিল-মে মাসে বেরিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে অবৈধভাবে বিয়ে করে সেই স্ত্রীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার দায়ে ২০ জন চীনাকে গ্রেফতার করা হয়। বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘আরি’ লাহোর নগরীতে কর্মরত একটি বেআইনি ‘পাত্র-পাত্রী নির্বাচন কেন্দ্র’র  পৃথক পৃথক কামরায় ছয়জন ‘নববধূ’-কে দেখায়। দালালরা টাকা পয়সা দিয়ে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রলোভন দিয়ে চীনাদের বউ বানায়। টিভির এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পর কর্তৃপক্ষীয় অভিযানে স্ত্রী বাণিজ্যের ৭০০টি ঘটনা উন্মোচিত হয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে চৈনিক বিনিয়োগ বেড়েই চলছে। এর ফলে এ দুটি দেশে চীনাদের আনাগোনাও দিন দিন বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বউ সাজিয়ে পাকিস্তানি মেয়েদের চীনে পাচারের বাণিজ্যের বিষয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার থাকতে বলেছে। একই রকম হুঁশিয়ারি অবলম্বনের জন্য বেজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসকেও আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। চীনে পাচার হওয়া তিন নারীকে উদ্ধার করে দূতাবাসটি সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কয়েকটি হাসপাতালে গত ২৯ জানুয়ারির অভিযানে ১৭ জন ভুয়া ডাক্তার ধরা পড়ে। এদের মধ্যে ১৩ জনই চীনা নাগরিক। এই ভুয়া ডাক্তারদের কয়েকজন আবার অস্ত্রোপচারও করত। ৪৩ বছর বয়সী চীনা নাগরিক রুয়ান জিনফেং গত ২৪ মার্চ দুবাই থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। তার লাগেজে ৫ কেজি ৫৬০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এসব সোনা সে একটি রিসার্চযোগ্য লাইটের ব্যাটারিতে লুকিয়ে নিয়ে এসেছিল। ১৩ মার্চও দুজন চীনাকে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। চীনের ৫ নাগরিক গত ৩০ আগস্ট কাঠমান্ডু আসে। ‘জরুরি কাজ’ শেষ করেই স্বদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। জরুরি কাজ মানে এটিএম বুথের টাকা চুরি। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এটিএম বুথে ডেবিট কার্ডের গোপন নম্বর হ্যাক করে তারা ১ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার রুপি হাতিয়েও নেয়। তবে পালানোর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। আন্তর্জাতিক একটি চক্র বাংলাদেশের কয়েকটি শহরে ভুয়া লটারির টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লুটছিল। এই চক্রে ১১ জন চীনা এবং কয়েকজন বাংলাদেশিও জড়িত বলে জানা যায়। জালিয়াত চক্রটির ১২ জন ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরী দক্ষিণ খুলশি এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ধৃতদের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক।

সর্বশেষ খবর