শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরকীয়ার অভিযোগ খালেদার আইনজীবী কায়সার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরকীয়ার অভিযোগ খালেদার আইনজীবী কায়সার কারাগারে

পরকীয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এক দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম  দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় পান্থপথ থেকে কায়সার কামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আতিকুর রহামান বাদী হয়ে ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর কলাবাগান থানায় ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রাজনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ অপব্যবহার করে ও বাদীর স্ত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আতিকুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতিন সুবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের মাধ্যমে আসামি ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঙ্গে পরিচয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার কয়েকদিন আগে আসামি কায়সার কামালকে পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করে। তখন আসামি কায়সার বাদীর বাসায় আশ্রয় চান। বাদী সরল বিশ্বাসে শ্বশুর-শাশুড়িসহ স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আসামি কায়সার কামালকে তার বাসায় আশ্রয় দেন।

পরবর্তীতে আসামি রাজনৈতিক সম্পর্কের সুযোগে অপব্যবহার করে এবং বাদীর স্ত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই মধ্যে বাদী দেখতে পান যে, কলাবাগান থানাধীন সার্কুলার রোডে বাদীর স্ত্রী আসামির গাড়ি থেকে নেমে আসছেন। এ বিষয়ে বাদীর শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা আসামিকে বোঝানোর পরেও আসামি তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি। সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে বাদী আসামির গাড়ি অনুসরণ করতে করতে কলাবাগান থানাধীন শেলটেক টাওয়ারের সামনে আসেন। তখন বাদী দেখতে পান, তার স্ত্রী আসামির গাড়িতে উঠছেন। অতঃপর বাদী দৌড়ে গিয়ে আসামির গাড়ির দরজা টান দিয়ে ধরেন এবং মোহন নামের একজনসহ জনগণের সহযোগিতায় আসামিকে ধরে ফেলেন। এর ফলে আসামি প্রতারণার মাধ্যমে বাদীর মান ও সুনামের ক্ষতি সাধন করেছেন। আসামির এই কর্মে বাদীর স্ত্রী, সন্তানসহ সংসার ধ্বংসের মুখে পড়েছে। আসামি বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে দুর্দিনের আশ্রয়দাতাকে চরমভাবে প্রতারণার শিকার করেছেন, যা অনৈতিক ও প্রতারণার শামিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর