শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইচ্ছামতো জমি বরাদ্দ আর নয়

আনিস রহমান

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পুলিশ, বিজিবি ও আনসারসহ বিভিন্ন ইউনিটের ভবন বা দফতর নির্মাণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনের বেশি জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে না। দেশে দিন দিন জমির পরিমাণ কমে আসায় জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সুপারিশমালা চূড়ান্ত করেছে। চূড়ান্ত করা বিধিবিধানে কোন ইউনিট কী পরিমাণ জমি ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশে সই করেছেন কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুল ইসলাম। টানা তিন বছর কাজ করার পর রবিবার এই সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি।

জমি বরাদ্দের সুপারিশে বলা হয়, যেসব ইউনিটের সদর দফতর ঢাকা মহানগরীতে এবং ইউনিটপ্রধান ডিআইজি বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা তদন্তসংশ্লিষ্ট কার্যালয়  সিআইডি ও পিবিআইয়ের জন্য দশমিক ৫০ একর এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, এসপিবিএন, এপিবিএন, হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতরের জন্য অনূর্ধ্ব ১ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে। পুলিশ অধিদফতরের আওতাধীন বিভাগীয় শহরের তদন্তসংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের জন্য দশমিক ৫০ একর, জেলা পুলিশ ছাড়া পুলিশ অধিদফতরের আওতাধীন জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয় ১ একর এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি বা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইর কার্যালয়ের জন্য দশমিক ৭৫ একর, পুলিশ সুপার-এসপি সমমর্যাদার কর্মকর্তার কার্যালয়ের জন্য অনূর্ধ্ব ১ একর, এএসপি সমপর্যায়ের কর্মকর্তার কার্যালয়ের জন্য সার্কেল এএসপির দশমিক ১৬ একর, মহানগর এলাকার জোনভিত্তিক এসি জোন, এসি ট্রাফিক, এসি পেট্রল ও এসি ডিবি কার্যালয়ের জন্য দশমিক ৫০ একর, মহানগর এলাকার নতুন থানা স্থাপনের জন্য দশমিক ৭৫ একর এবং পল্লী এলাকায় দুই একর, পাহাড় এলাকার জমি উঁচুনিচু হওয়ায় সেখানে ভবন নির্মাণ করতে সমতলের চেয়ে বেশি জমি প্রয়োজন হয়। তাই সেখানে থানা ভবনের জন্য কমবেশি চার একর জমি বরাদ্দ করা যাবে। এ ছাড়া তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ১ একর, জেলা পুলিশ লাইনের জন্য ১০ একর, মহানগর পুলিশ লাইনের জন্য ১০ একর, মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের জন্য ১ একর, ঢাকা মহানগরীতে উপপুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের জন্য দশমিক ২৫ একর এবং অন্যান্য মহানগর এলাকায় দশমিক ৩৩ একর জমি বরাদ্দ করা হবে। একইভাবে র‌্যাব ব্যাটালিয়নের জন্য পাঁচ একর এবং র‌্যাব সিপিসির জন্য এক দশমিক ৫০ একর জমি, নৌ পুলিশের এএসপি কার্যালয়ের জন্য দশমিক ৩৩ একর, নৌ থানার জন্য এক একর এবং নৌফাঁড়ির জন্য দশমিক ১৫ একর, হাইওয়ে পুলিশের ডাম্পিং স্টেশনসহ হাইওয়ে থানার জন্য দুই একর এবং হাইওয়ে ফাঁড়ির জন্য দশমিক ১৫ একর, ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল পুলিশের সাব জোন অফিসের জন্য দশমিক ৫০ একর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ লাইনের জন্য পাঁচ একর, মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিক পুলিশ ফাঁড়ির জন্য দশমিক ৩৫ একর, স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের জন্য দশমিক ৩৩ একর, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদর দফতরের জন্য দুই একর, সিটিএসবির জোনাল অফিসের জন্য দশমিক ২৫ একর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রিজিয়ন সদর দফতরের জন্য দশ একর, সেক্টর সদর দফতরের জন্য সমতল হলে দশ একর, পার্বত্য হলে ১৫ একর, ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের জন্য একই পরিমাণ, কোস্টগার্ডের জন্য চট্টগ্রাম বরিশাল ও খুলনা রিজিয়নাল সদর দফতরের জন্য পাঁচ একর, স্টেশন বা কম্পোজিট স্টেশনের জন্য দুই একর ও আউটপোস্টের জন্য ১ একর জমি বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর