বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ভোট নিয়ে তিন দল

প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে পাচ্ছেন না জাপার মিলন

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেও পাশে পাচ্ছেন না পার্টির  কেন্দ্রীয় নেতাদের। প্রচারণার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও মিলনের পাশে দেখা মেলেনি পার্টির শীর্ষনেতাদের। এ বিষয়ে পার্টির নেতা-কর্মীরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের হেভিওয়েট নেতাদের দেখা গেলেও আমাদের প্রার্থীর পাশে কোনো সিনিয়র নেতা নেই।’ এ বিষয়ে হাজী মিলন বলেন, ‘আমার পাশে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা থাকলে কর্মীদের উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমার পক্ষে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং মীর আবদুস সবুর আসুদ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নামেননি। সংসদ সদস্য ছাড়াও পার্টির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন, তারা আমার পক্ষে মাঠে নামলে লাঙ্গলের পক্ষে অনেক ভালো ফল আসবে।’ নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ সব কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা এখনো কেউ মাঠে নামেননি। তারা বলছেন, একমাত্র মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ভোটে খারাপ ফল বয়ে আনলে আগামীতে জাতীয় পার্টির জন্য ভালো হবে না। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণে জাতীয় পার্টির দুজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারাও ইমেজ সংকটে পড়বেন।’

জানতে চাইলে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মিটিং করব, যেন দক্ষিণ সিটিতে আমরা ভালো ফল বয়ে আনতে পারি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নিষ্কণ্টক করতে জাপার প্রার্থী মিলনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল। ৯ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগের রাতে কাজী ফিরোজ রশীদের ধানমন্ডির বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ওই বৈঠকে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওই সিটির দুই প্রার্থী ফজলে নূর তাপস ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। সমঝোতা হয় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের। কিন্তু এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা আসে প্রত্যাহার না করে বহাল রাখার। কেন এমন সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে বৈঠকে জানানো হয়, গত নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি মাঠ থেকে সরে যেতে পারে। বিভিন্ন সংস্থার কাছে এমন তথ্য আছে। সে শঙ্কা থেকেই জাতীয় পার্টিকে ভোটের লড়াইয়ে রাখার কথা জানানো হয়। বিশেষ করে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর