শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

গোপন কৌশলে যুক্তরাষ্ট্র ইরান

ট্রাম্পের বিচার দাবি, সমঝোতা নয়, পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াবে ইইউ

তানভীর আহমেদ

আপাতত যুদ্ধ না বাধলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান এগোচ্ছে গোপন কৌশলে। সামরিক শক্তি শানিত করার পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দুই দেশই। আন্তর্জাতিক আদালতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার দাবি করেছে ইরান। ইরানের এ দাবিকে দুঃসাহসিক বলে অভিহিত করেছে বিশ্বমিডিয়া। আলোচনার ঝড় উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত কোনো দেশই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দুঃসাহস দেখায়নি। গত ৩ জানুয়ারি ইরাকে ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে হত্যা করা হয় ইরানের শীর্ষ জেনারেল সোলাইমানিকে। তিনি ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে বাগদাদে গিয়েছিলেন। এ হত্যাকান্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক বিচার দাবি করেন। এদিকে ট্রাম্পের নতুন সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানও নাকচ করে দিয়েছে ইরান।

‘বিচার চাই’ : ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হামলাকারী বলে অভিহিত করেছে ইরান। এরপরই আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার দাবি করে দেশটি। সোলাইমানি হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ট্রাম্পের বিচার চায় ইরান। ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচার চাই। সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।’

ট্রাম্পীয় চুক্তি করা হবে না : ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে কয়েক দফা হামলার পর ইরানের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন ফের সেই প্রস্তাবে ইরানকে সাড়া দেওয়ার আহ্বান করলে গতকাল সরাসরি তা নাকচ করে দেয় ইরান। ইইউর সিদ্ধান্ত : ইরানের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরমাণু চুক্তিটি সম্পূর্ণ বাতিল হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চুক্তির শর্ত ভেঙে ইরান ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত।

সর্বশেষ খবর