বরাবরের মতো আবারও মিয়ানমান সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ভট দাবি করে বলা হয়েছে, রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি। এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সূত্র : রয়টার্স।
গতকাল এ দাবি করেছে দেশটির সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তারা জানায়, এই হত্যাযজ্ঞে একাধিক পক্ষ ভূমিকা রেখেছে- এমন আলামত রয়েছে তাদের কাছে। কিন্তু গণহত্যার উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালানো হয়েছে- এমন কোনো আলামত তারা পাননি।
কমিটি জানায়, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাবিরোধী সেনাবাহিনী নেতৃত্বাধীন অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীসহ ‘একাধিক পক্ষ’ সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দোষ গ্রামবাসীকে হত্যা ও তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা। তবে তদন্তের পর ফল-সম্পর্কিত বিবৃতি দিতে গিয়ে কমিটি এই অপরাধের দায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়েছে। তারা জানায়, নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এটা একটি অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সহিংসতা। বিবৃতিতে বলা হয়, কমিটি এমন কোনো আলামত পায়নি যাতে করে রাখাইনে মুসলিম কিংবা অন্য জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে এমন হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আলামতের অপ্রতুলতা বিতর্ক তৈরি করে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য অভিযান চালানো এমন যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণের স্বল্পতা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় আলামতও পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, চোখে ধুলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বছরের পর বছর নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। আমাদের অনেকে মারা গেছে, অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এসব যদি গণহত্যা না হয়ে থাকে তবে এসব কী?’