বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বেড়েছে প্রকাশনা

মোস্তফা মতিহার

বেড়েছে প্রকাশনা

অমর একুশে গ্রন্থমেলা এলেই বই প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। প্রকাশকদের ব্যস্ততার পাশাপাশি লেখকদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আর মেলাকে কেন্দ্র করে মৌসুমি লেখকদের আবির্ভাবও ঘটে মাত্রাতিরিক্তভাবে। কোয়ান্টিটি দিয়ে প্রতিবারের মতো এবারের মেলাও এগিয়ে রয়েছে, তবে কোয়ালিটির দিক দিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা মানহীনতার অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এক্ষেত্রে প্রকাশকদেরই দায়ী করেছেন রুচিশীল পাঠকরা। কবিতা, উপন্যাস, রম্য, কমিকস, থ্রিলার, সায়েন্সফিকশন, শিশুতোষ, মুক্তিযুদ্ধ, অনুবাদ ও ভ্রমণকাহিনিসহ বিভিন্ন ধরনের বইয়ে সয়লাব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকাশনার দিক দিয়ে অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের মেলা অনেকখানি এগিয়ে আছে। শখের লেখকদের বই প্রকাশ করতে গিয়ে মানদন্ড বিচার না করে যেনতেন বই প্রকাশ করে একুশের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন তারা। বেশ কয়েকজন প্রকাশক জানান, মোটিভেশনাল বই পাঠকদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করেছে। পাঠকদের আশার আলো দেখানোর জন্য যারা মোটিভেশনাল বই বের করে, তারা কি পাঠকদের বড় একটা অংশকে হতাশাগ্রস্ত মনে করেন? যার কারণে তাদের মোটিভেট করার জন্য এ ধরনের বইয়ের প্রকাশ। সৃজনশীলতার পরিবর্তে মোটিভেশনাল বইগুলোর কারণে মানহীনতার বিষয়টি পাঠকদের কাছে উঠে এসেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকাশক। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ অধ্যয়ন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী তাসনুভা আদিবা বলেন, মোটিভেশনাল বই মানেই যে হতাশাগ্রস্তদের বই, এটা কিন্তু ঠিক না। ভালো কাজের প্রতি মানুষকে মোটিভেট করা ও ভালো কিছুর প্রতি মানুষকে মোটিভেট করে থাকে মোটিভেশনাল বইগুলো। যেমন আমার প্রকাশিত আয়মান সাদিক ও সাদমান সাদিকের ‘কমিউনিকেশন হ্যাকস’ বইটি পড়লেই পাঠকরা জানতে পারবে বইটি তাদের জন্য কতটুকু পজিটিভ। সাহিত্য প্রকাশের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, এখন পাঠকদের চেয়ে লেখকের সংখ্যা বেশি। যার কারণে অনেক নিম্নমানের বই বাজার দখল করে আছে। তবে কোয়ালিটি না থাকলে কেউ বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।

তবে বইয়ের দাম বেশি কেন এমন প্রশ্নে প্রকাশনীটির ব্যবস্থাপক রথীন্দ্র প্রসাদ দাস বলেন, দিন দিন কাগজের দাম বাড়ছে, ছাপাখানার খরচ বাড়ছে, বাঁধাইসহ আনুষঙ্গিক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বইয়ের দাম বেড়েছে। ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল মনে করেন, লেখক ও প্রকাশকদের সদিচ্ছা থাকলে বইয়ের মান বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া কোয়ান্টিটি বেশি হলে কোয়ালিটি তো একটু খারাপ হবেই।

মূলমঞ্চ : বিকাল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অনুপম হায়াৎ রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাজেদুল আউয়াল। আলোচনায় অংশ নেন মোরশেদুল ইসলাম ও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন অনুপম হায়াৎ। সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। সবশেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন জরিনা আখতার, সাজ্জাদ শরিফ, জাহিদ মুস্তাফা এবং নওশাদ জামিল।

আবৃত্তি করেন ফয়জুল্লাহ সাঈদ, মাহমুদুল হাকিম তানভীর এবং আদিবা ইসমাত। সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা, বশিরুজ্জামান সাব্বির, নবীন কিশোর, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস এবং অনন্যা আচার্য্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর