করোনাভাইরাসের প্রভাবে তৈরি পোশাকশিল্পে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ার তথ্য দিয়েছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটি জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৩৬টি কারখানার ৮০০ দশমিক ১৮ মিলিয়ন পোশাক পণ্যের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। যার মূল্য ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানায় ১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন বা প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসকে সম্প্রতি দেওয়া লিখিত পত্রে গুচ্ছ সুবিধা দাবি করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। দাবির মধ্যে আছে সুদমুক্ত ঋণ, রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের বিধিবিধান ছয় মাসের জন্য স্থগিত, রপ্তানি আয়ের যেটুকু অংশ দেশে আসবে তার ওপর ডলারপ্রতি ৫ টাকা প্রদান। ওই পত্রে ড. রুবানা হক বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিদেশি ব্র্যান্ড ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের বর্তমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করছে। ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশ কমিয়ে ফেলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য দূরদর্শী আর্থিক ও নীতি সহায়তা দরকার। করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র পরিশোধে বিলম্ব হবে। পরবর্তী ছয় মাস প্রতিটি পোশাক কারখানায় নগদ অর্থের সংকট থাকবে। সে কারণে শ্রমিকের মজুরি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল এবং দুই ঈদের বোনাস দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে। মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হবে। রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণে বিলম্ব হবে এবং বিভিন্ন আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে সমস্যা দেখা দেবে। পত্রে বিজিএমইএ চাওয়া গুচ্ছ সুবিধাগুলো হলো- পোশাক কারখানার ছয় মাসের মজুরি ও বোনাস, গ্যাস-বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য সুদমুক্ত ঋণ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ স্থানীয় মুদ্রায় প্রদান করা হোক। এই ঋণের অর্থ প্রথম ছয় মাসে প্রদান না করে পরবর্তী ৩০ মাসে সমান কিস্তিতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। পোশাক কারখানাকে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রদান করবে। প্রণোদনা দাবির ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পিআরসির বিপরীতে সরাসরি ব্যাংক থেকে প্রদান করতে হবে। বিজিএমইএ বলছে, বকেয়া প্রণোদনার অর্থ আগামী মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা দরকার। এ ছাড়া মেয়াদি ঋণের সুদ আগামী ছয় মাসের জন্য মওকুফ ও ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের সময় ১৮০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করার দাবি করা হয়। ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র সময় মতো পরিশোধ না করা হলে ফোর্স ঋণ সৃষ্টি না করার দাবি করেছে বিজিএমইএ। তাদের আরও দাবি, রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত সব বিধিবিধান ছয় মাসের জন্য স্থগিত করতে হবে। প্যাকিং ক্রেডিট (পিসি) ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ পরিশোধের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো যেতে পারে। বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও ইএক্সপি প্রতিবেদনের জন্য অতিরিক্ত ৯০ দিনের সময় দেওয়া প্রয়োজন। করোনাসহ নানা কারণে পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে এমন দাবি করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি আয়ের যেটুকু অংশ দেশে আসবে, তার ওপর ডলারপ্রতি ৫ টাকা প্রদান করার অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ। তারা বলেছে, ডলারপ্রতি ৫ টাকা দিতে হলে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে না।
শিরোনাম
- নির্বাচন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসির
- ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
- জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
- ‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
- দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
- ‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
- নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
- মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
পোশাকশিল্পে আড়াই বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল
রুহুল আমিন রাসেল
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর