বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের কাজ পেল জাপানি কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের ডিজাইন, টেন্ডার অ্যাসিসটেন্স এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এসব কাজ করে দিলে প্রতিষ্ঠানটি পাবে ২৩৪  কোটি তিন লাখ টাকা। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বাইরে থাকায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন, ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নাসিমা বেগম আরও জানান, সভায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও প্রতিরক্ষামূলক কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। আগে এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এখন এক কোটি ৬১ লাখ টাকা বেড়ে এ কাজে ব্যয় দাঁড়াল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সভায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। ২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পণ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছে বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেড। পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, ১৫৪ লাখ ৮১  কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ পেয়েছে একতা পাওয়ার লিমিটেড, ভিকার ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড এবং পাসা ট্রান্সফারমার লিমিটেড। এদিকে চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করছে সরকার। এ ছাড়া ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সারও আদানি করা হবে। সব মিলে ৭ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আর এসব সার আমদানিতে সরকারের  মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। নাসিমা বেগম জানান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান  থেকে মেয়াদি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দুই হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা তেল আমদানি করবে সরকার। গতকালের সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর