বিনিয়োগকারীদের পদচারণায় আবারও মুখোরিত শেয়ারবাজার। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে শেয়ারের দর ও সূচক। বাজারের এই চাঙ্গা মেজাজে বাড়ছে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। গত দেড় মাসে নতুন বেনিফিসিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন যারা লেনদেন করেনি এসব অ্যাকাউন্টেও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০ সালের পর লেনদেনে নিষ্ক্রিয় থাকা বিও অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়ে উঠছে। গত দুই মাসে নতুন করে নিষ্ক্রিয় থাকা প্রায় ৫ লাখ বিও অ্যাকাউন্টে লেনদেন করছেন লগ্নিকারীরা। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল থাকায় বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসছেন। এটা বাজারের জন্য শুভ লক্ষণ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজার সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪২টি। জুনের শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৩০ হাজারে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দুই লাখ বিনিয়োগকারী বাজার থেকে বের হয়ে যায়। সর্বশেষ এই সংখ্যা হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। যারা বাজার থেকে বের হয়ে গিয়েছেন তারা আবারও ফিরছেন শেয়ারবাজারে। দীর্ঘদিনের মন্দার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাজারের দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ নেমে আসে ২০০ কোটি টাকার নিচে। চলতি বছরের মার্চের পর কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু হলে বাজারের লেনদেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সব কোম্পানির শেয়ার দর কমতে থাকে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বন্ধ করে দেয় শেয়ারবাজার লেনদেন। এই পরিস্থিতিতে বাজার থেকে জুন শেষে প্রায় দুই লাখ বিনিয়োগকারী বের হয়ে যায়। বিএসইসির নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর জুনে বাজারে লেনদেন শুরু হয়। বাজারের শেয়ারে স্থিতিশীল রাখতে নানা উদ্যোগ নেয়। এর পরেই শেয়ারবাজার লেনদেন হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। গত তিন মাসের ব্যবধানে ডিএসইর সূচক প্রায় এক হাজার পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারের এই চাঙ্গা লেনদেনে ফিরতে শুরু করেছেন নতুন বিনিয়োগকারীরা। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ ধসের সময় শেয়ারবাজার বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪ লাখ। ওই ঘটনার পর বাজার থেকে প্রায় ১০ লাখ বিনিয়োগকারী চলে যায়। তবে ২০১৪ সালের পর শেয়ারবাজারে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৯ লাখে পৌঁছায়। তবে এর মধ্যে শেয়ারবাজারে সক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে প্রায় ২০ লাখ অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেন হয়েছে। গত দুই মাস ধরে শেয়ারবাজার ফের চাঙ্গা মেজাজে ফিরে এলে বিও অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি সক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠায় বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। অধিকাংশ অ্যাকাউন্টধারী এখন বাজারে লেনদেন করছেন। জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ব্যাংক খাতে সুদের হার কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া বাজার এখন ইতিবাচক ও স্থিতিশীল আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে অনেকে নতুন করে বাজারে ঢুকছেন। ঝুঁকি সব সময় থাকে। যারা এসেছেন তারা সতর্ক থাকলে বাজারের জন্য এটা ভালো।
শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
শেয়ারবাজারে ফিরছেন নতুন বিনিয়োগকারী
আলী রিয়াজ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর