শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

এএসআই আশেক গ্রেফতার কনস্টেবল হারুন ফের রিমান্ডে

ফাঁড়িতে যুবক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

এএসআই আশেক গ্রেফতার কনস্টেবল হারুন ফের রিমান্ডে

এএসআই আশেক

সিলেটে ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নামের এক যুবক হত্যা মামলায় বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহৃত এএসআই আশেক এলাহীকে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এ ছাড়া পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালত আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে একই মামলায় গ্রেফতার কনস্টেবল হারুনুর রশিদের। গতকাল সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াদুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রায়হান হত্যার ঘটনায় বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে আশেক এলাহীসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া একই ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর মধ্যে আট দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে পুলিশ লাইনস থেকে এএসআই আশেক এলাহীকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বেলা ৩টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম জানান, ২৩ অক্টোবর আদালত কনস্টেবল হারুনুর রশিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরদিন তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক দ্বিতীয় দফায় আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও এএসআই আশেক এলাহীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এতে হত্যাকান্ড নিয়ে অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নেওয়া হয় নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে। পরদিন ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহী। প্রথমে ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে রায়হান মারা গেছেন বলে দাবি করে পুলিশ। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁড়িতে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ তোলা হলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে। রায়হানের স্ত্রী হত্যা এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে থানায় মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর