শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এমপি আসলামের দুই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে উচ্ছেদের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীর দখলমুক্ত করতে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আসলামুল হকের দুই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে উচ্ছেদের সুপারিশ করেছে সরকারের একটি সংস্থা। সাভারের শ্যামলাপুর, কেরানীগঞ্জের ওয়াশপুর ও ঘাটারচর অংশে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীরসহ প্লাবনভূমি দখল করে প্রতিষ্ঠান দুটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে প্রমাণিত হওয়ায় এ সুপারিশ করা হয়। আদালতের নির্দেশে আসলামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট’ ও ‘আরিশা প্রাইভেট ইকোনমিক জোন’-এর অবস্থান যৌথ জরিপের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টে দাখিলের জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৈরি প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার যৌথ জরিপে উল্লেখ করা হয়, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের জমি দখল করে ‘মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট’ ও ‘আরিশা প্রাইভেট ইকোনমিক জোন’ গড়ে তোলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান-স্পারসোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে বুড়িগঙ্গা, তুরাগের ১২.৭৮৬৪ একর তীরভূমি ও প্লাবনভূমির ৭.৯২১২ একর ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ড্যাপের আওতাভুক্ত জমিসহ মোট ৫৪ দশমিক ০১৭৮ একর জমিতে মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা প্রাইভেট ইকোনমিক জোনসহ বেশ কিছু বাণিজ্যিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জাতীয় নদী কমিশনের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, ‘গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর যৌথ জরিপের পর গত ৯ নভেম্বর প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী রবিবার প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিবেদনে ১০ দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।’

সর্বশেষ খবর