সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রয়োজন জনগণের সরকার

-ড. রেজা কিবরিয়া

প্রয়োজন জনগণের সরকার

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া নতুন বছরে দেশের মূল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরে বলেছেন, এই সরকারকে দিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট আর অনিয়ম ছাড়া কিছুই হবে না। নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। যে সরকার সমস্ত অনিয়ম, দুর্নীতি-লুটপাট দূর করে শক্ত হাতে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারবে। যার মধ্য দিয়ে দেশের প্রান্তিকসহ সর্বস্তরের জনগণই উপকৃত হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ‘নতুন বছরে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং তার উত্তরণে সমাধানগুলো কী’-তা নিয়ে আলোচনাকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন সমকালীন স্বচ্ছ রাজনীতিক ড. রেজা কিবরিয়া।

তিনি বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রথমেই সরকারকে যা করতে হবে- সেটা হলো, সরকারি, দলীয় ও প্রশাসনিক সব দুর্বলতা পরিহার করা। যা এই এক ব্যক্তির সরকারের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। কারণ নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা মানেই হলো, দুর্নীতি দূর করে ন্যায় ও  আইনের শাসন তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এমন একটি সরকার গঠন করতে হবে, যার মাধ্যমে দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন, আইনের শাসন। খুন, গুম, মিথ্যা-মামলায় গ্রেফতার-নির্যাতনের মতো ঘটনা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ ন্যায় বিচার পাবে। নতুন বছরের তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলোর বর্ণনা করে সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম ড. এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ১. প্রথমেই কভিড-১৯ মোকাবিলায় সাধারণ জনগণের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা। ২. করোনায় মানুষের ওপর যে প্রভাব পড়েছে তার সমাধানে মানুষের খাবারের ব্যবস্থাসহ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলো গ্রহণ করা। ৩. করোনায় দেশের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা খেয়েছে-তা এই ২০২১ সালের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাটা খুবই কঠিন। কারণ আগে আমাদের টিকে থাকতে হবে। তারপর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য সব রকমের ম্যাক্রো প্রজেক্ট আপাতত বন্ধ রেখে সব মানুষের হাতে নগদ টাকা দিতে হবে। যাতে তারা খরচ করতে পারে। এর মাধ্যমেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে। এক্ষেত্রে বড় প্রজেক্টগুলোকে ডিলে করতে হবে। কারণ সেগুলোর টাকা বড় বড় দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরাই পায় এবং তাদের বেশির ভাগই সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে থাকে। তাই গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে তাদের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দিতে হবে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের কিছু ‘বেনিফিশিয়ারি’ ছাড়া আর কারও কাছেই এখন নগদ টাকা নেই। তাই সরকারি দলের আত্মসাৎকারী প্রকৃতির লোকজনকে না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর লোকদের দিয়ে সেই অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে। আর সেজন্য সরকারকে ‘ডাইরেক্ট গ্রান্ট’ দিয়ে দিতে হবে। ড. রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, আলোচিত ভালো কার্যক্রমগুলো বর্তমান অযোগ্য, অপদার্থ ও অক্ষম সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এরা দুর্নীতি, লুটপাট আর উন্নয়নের মিথ্যা বেসাতি করা ছাড়া আর কিছু পাওে না। এজন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে প্রকৃত অর্থেই একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর সেজন্য এই নতুন বছরে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর