বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

তিন সপ্তাহে কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৫২৮, মৃত্যু ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন সপ্তাহে কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত ২৩ দিনে ১০ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি। গতকাল পর্যন্ত জানুয়ারির ২৭ দিনে মোট মারা গেছেন ৪৯৬ জন। এর মধ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে একটি। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। তবে এই সময়ে ষাটোর্ধ্ব মানুষ মারা গেছেন ৩২০ জন। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমায় মৃত্যু হয়েছে ১০৬ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অলৌকিকভাবেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী। এ কারণে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর এক ভাগেরও কম মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমায়ও মৃত্যুর হার এক শতাংশের কম। অন্যদিকে ষাটোর্ধ্ব মানুষের মৃত্যুর হার ৫৫ শতাংশের বেশি। বয়সসীমা যত বেড়েছে, মৃত্যুর হারও বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ছিলেন নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন ও ত্রিশোর্ধ্ব ছিলেন একজন। ৩০ বছরের কম বয়সী কেউ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাননি। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট মারা গেছেন ৮ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ৪ হাজার ৪৫৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছিলেন ২ হাজার ২৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৯২৬ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৪০১ জন, বিশোর্ধ্ব ১৬৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমায় মারা গেছেন ৬১ জন। এই সময়ে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি যা মোট মৃত্যুর মাত্র দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭২০টি নমুনা পরীক্ষায় ৫২৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

 এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০৯ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৪ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে আটজন ছিলেন পুরুষ ও নয়জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে ১৩ জন ঢাকা, দুজন চট্টগ্রাম, একজন বরিশাল ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দীর্ঘদিন পর আইসিইউতে ভর্তি থাকা সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা দুইশর নিচে নেমে এসেছে। গতকাল দেশের কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মোট ৫৯৮টি আইসিইউর মধ্যে ১৯৫টিতে রোগী ভর্তি ছিল। খালি ছিল ৪০৩টি আইসিইউ। সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল ১ হাজার ৬৫৮ জন, খালি ছিল ৮ হাজার ৭১৩টি শয্যা।

সর্বশেষ খবর