সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী বুধবারের মধ্যে যে কোনো দিন এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ জামান। চার্জশিটে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, বরখাস্ত টুআইসি এসআই হাসান আলীসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে চার্জশিটে আর কাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে এ ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে রাজি নয় পিবিআই। চার্জশিট দাখিলের আগে সংবাদ সম্মেলন ডেকে পুরো তদন্ত কার্যক্রম ও আসামিদের বিষয়ে অবগত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান। সূত্র জানায়, রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্তের সময় বর্ধিত করার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল মুমিনের আদালতে আবেদন করে পিবিআই। ১৪ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানির পর আদালত ৩০ কার্যদিবস সময় বৃদ্ধি করেন। এরপর তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ পিবিআই কর্মকর্তারা রায়হান হত্যা মামলার আদ্যোপান্ত পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেন। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে অভিযোগপত্রটি চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। এখন আইনি কোনো ফাঁকফোকর রয়ে গেছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী বুধবারের মধ্যে যে কোনো দিন আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। সূত্র আরও জানায়, রায়হান হত্যার ঘটনার পর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ছয় পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। অভিযুক্ত ছয়জন এখন কারান্তরীণ রয়েছেন। তারা হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। চার্জশিটে এই ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হবে কি না তা স্পষ্ট করেননি পিবিআইর এসপি খালেদ উজ জামান। রায়হান হত্যার পর পুলিশ ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পরিবর্তন ও প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তাকারী কোম্পানীগঞ্জের আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হবে কি না এ বিষয়টিও এখনো পরিষ্কার নয়। পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে, তাদের অভিযুক্ত করা হবে। চার্জশিট প্রস্তুত জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, নগরীর আখালিয়ার নেহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত বছর ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যায় পুলিশের একটি দল। এরপর টাকার দাবিতে তাকে রাতভর ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে পুলিশ। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হান হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে