গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে বেশি ঢাকা বিভাগে। মৃত্যু কম ছিল তিন বিভাগে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩২ জন, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, ছয়জন সিলেট বিভাগে, চারজন খুলনা বিভাগে এবং দুজন করে রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা মারা গেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৩১ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ হাজার ৬৪৪। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২। গত রবিবার করোনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৫৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও ১ হাজার ৭৩৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ০-১০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, আটজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন। মৃতদের মধ্যে ৩২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ছয়জন সিলেট বিভাগের, চারজন খুলনা বিভাগের এবং দুজন করে রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৪৭৬ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ১৬৮ জন নারী। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারা দেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৯৭। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৫৯৪টি। এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯ জনকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৪১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে ৩ লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ২৫ এপ্রিল তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।