মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

কৃষিকাজেই সুখী বিদেশ ফেরত সুভাষ

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

কৃষিকাজেই সুখী বিদেশ ফেরত সুভাষ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের সুভাষ দেব। বছর সাতেক আগে তিনি দেশে ফেরেন। এর আগে একটানা ১৮ বছর আরব আমিরাতে ছিলেন। করেছেন পরের চাকরি। ছিল না কোনো স্বাধীনতা। মাস শেষে যা বেতন পেতেন নিজের খরচ রেখে পাঠিয়ে দিতেন পরিবার-পরিজনের কাছে। নিজের কাছে জমাতে পারেননি একটি টাকাও। বিদেশের মাঠিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ২০১৪ সালে একেবারেই দেশে ফিরে আসেন। সংসারের খরচ জোগাতে শুরু করেন কৃষিকাজ। প্রথম বছর পৈতৃক জমিতে ধান চাষ করেন। পরের বছর হাওরে জমি বন্ধক নিয়ে করেন মাছের চাষ। এরপর শুরু করেন গবাদি পশু পালন। এতসব তাঁর একার পক্ষে কুলানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাঁর ওখানে কর্মসংস্থান হয়েছে গ্রামের আরও তিনজনের। বর্তমানে তাঁর জমিতে আছে ঝিঙা, চিচিঙ্গা, লাউ, ঢেঁড়স ও বেগুন। তিনি ৭ শতক জমিতে ঝিঙা চাষ করেছেন। ফলন খুব ভালো। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কেজি বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ঝিঙা ৪৫ টাকা দরে। আর মাত্র কয়েক দিন পরই চিচিঙ্গা বিক্রি শুরু করবেন। ফুল এসেছে বেগুন ও লাউ গাছে। আবার লাল শাক, করলা ও ডাঁটার বীজ বপনের জন্য জমি তৈরি করছেন। সারা বছরই তিনি সবজি চাষ করেন। এ করেই এখন তিনি প্রতি মাসে সংসারের খরচ চলাচ্ছেন। আবার বছর শেষে সঞ্চয়ও করছেন।

সুভাষ দেব বলেন, ‘৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে অন্যের চাকরির পরিবর্তে দেশের মাটিতে কৃষিকাজ করা অনেক ভালো। চাকরি করে খুব বেশি হলে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আর বুদ্ধি করে কৃষিকাজ করলে এর থেকে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। কৃষিকাজ করে আমি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা সংসারে খরচ ও বছরে ১ লাখ টাকা সঞ্চয় করছি। সারা দিন কাজ শেষে সন্ধ্যার পর একটু অবসর পাচ্ছি। রয়েছে ব্যক্তিস্বাধীনতা। কৃষিকাজ করেই আমি সুখী।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর