বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মন্ত্রী-এমপিদেরও সম্পদের হিসাব নেওয়া উচিত

-আবু আলম মো. শহীদ খান

মন্ত্রী-এমপিদেরও সম্পদের হিসাব নেওয়া উচিত

সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সম্পদের হিসাব নেওয়া উচিত। এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সচিব বলেন, সরকারি কমর্চারীদের আচরণবিধির ১১, ১২ ও ১৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে- সরকারি কর্মচারী যোগদানের সময় এবং প্রতি পাঁচ বছরে একবার সম্পদের হিসাব দিতে হবে। কিন্তু এ বিধান থাকলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি। এ বিধান কার্যকর করতে হবে। প্রায় ১৭-১৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নেওয়ার সক্ষমতা সরকারের আছে কি না তা-ও ভেবে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। একই সঙ্গে আমি মনে করি মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব নেওয়াও জরুরি। তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বড় একটি অংশ আয়কর জমা দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দেন। সেখানেও কিন্তু তারা সম্পদের বিবরণী তুলে ধরেন। আবার পাঁচ বছরেও একবার করে সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা পর্যালোচনা করা হয় না। আমি মনে করি এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সেল গঠন করা উচিত, যাদের কাজ হবে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব পর্যালোচনা করা। এর মধ্যে কারও সম্পদের অসংগতি পাওয়া গেলে সেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবু আলম মো. শহীদ খান আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার আইন কার্যকর হয়নি। তার পরও সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ ইতিবাচকভাবেই দেখছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় অধিদফতর কিংবা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভাগ অনুযায়ী এ হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। এজন্য আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি।

সর্বশেষ খবর