রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

পরাগায়নে নতুন পদ্ধতি পটোল চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

পরাগায়নে নতুন পদ্ধতি পটোল চাষে সফলতা

খুলনার ডুমুরিয়ায় ফুলের পরাগায়নে নতুন পদ্ধতি ব্যবহারে পটোল চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। আকারে তুলনামূলক বড় ও ফলন বেশি হওয়ায় এরই মধ্যে তা চাষিদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এ পদ্ধতিতে খেত থেকে ২০-২৫টি পুরুষ ফুল সংগ্রহ করে কাঁসার পাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে পানিতে ফুলের পরাগরেণু বের হলে ওই পানি স্ত্রী ফুলের মধ্যে স্প্রে করা হয়।

জানা যায়, এক বিঘা পটোলের খেতে প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ হাজার ফুল ফোটে। পটোলের ফুলে যেহেতু রেণু একটু ভিতরের দিকে থাকে এ কারণে স্বাভাবিক বায়ুর মাধ্যমে পরাগায়ন হয় না। এতে ফলন কম হয়। এ কারণে সাধারণত পুরুষ ফুলকে স্ত্রী ফুলের সঙ্গে ছোঁয়ানোর মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানো হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে চাষির পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ ফুলের পরাগায়ন ঘটানো সম্ভব হয় না। এতে অনেক ফুলই নষ্ট হয়ে যায়।

খুলনায় ডুমুরিয়ার বরাতিয়া গ্রামের চাষি ইন্দ্রজিৎ নন্দী পুরুষ ফুলের রেণু মেশানো পানি স্প্রের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটিয়ে পটোল উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন। এক বিঘা জমিতে প্রতি সপ্তাহে তিনি ১২ মণ পর্যন্ত পটোল পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে পুরুষ ফুলের রেণু সরাসরি স্ত্রী ফুলে ছোঁয়ানোর মাধ্যমেও পরাগায়ন ঘটানো যায়। কিন্তু খেতে সব সময় পর্যাপ্ত পুরুষ ফুল থাকে না। এ কারণে ভোরবেলায় ২০-২৫টি পুরুষ ফুল সংগ্রহ করে কাঁসার বাটিতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। প্লাস্টিক বা অন্য কোনো পাত্রে রাখলে রেণু ঠিকমতো পাওয়া যায় না। ওই রেণু মেশানো পানি পরদিন খেতে স্ত্রী ফুলের ওপর স্প্রে করা হয়।’

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘পুরুষ ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে পরাগায়ন বলে। নতুন এ পদ্ধতিতে পটোলের পরাগায়ন করলে চাষি তুলনামূলক বেশি ফলন পেয়ে লাভবান হবেন।’

সর্বশেষ খবর