রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকার কাছেই শাপলার রাজ্য

জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

ঢাকার কাছেই শাপলার রাজ্য

রূপগঞ্জের দাউদপুরে লাল শাপলার বিল মুগ্ধ করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। রাজধানীর খুব কাছে হওয়ায় নগর জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা অনেক মানুষ প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। কারণ সেখানে শরতের প্রকৃতিকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে লাল শাপলার লাবণ্য। এ যেন প্রকৃতির আঁচলে জীবন্ত হয়ে ওঠা এক নকশিকাঁথার মাঠ। দিগন্তজুড়ে ফুটে আছে লাল শাপলা। সবুজ আর লালে তাই ভোরের স্নিগ্ধতায় মন ছুঁয়ে যায় মানুষের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হানকুর সেতু পার হয়ে পুবে সামান্য দূরে হানকুর নতুন শাপলা-পদ্মবিল রিসোর্ট। শাপলা দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। সৃষ্টিকর্তা যেন পরম যত্নে সাজিয়েছেন মনোমুগ্ধকর এ শাপলা বিল। বিলের পাশে বাঁশের মাচায় মাদুর পেতে বসে ছিলেন মধ্যবয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন। মাচায় বসেই কথা হয় তার সঙ্গে। পরিচয় জানতে চাইলে জানান শাপলা-পদ্মবিলের একজন মালিক। বলেন, তারা কয়েকজন মিলে এ শাপলা বিল দেখভাল করেন। রমজান মৃধা হলেন তাদের প্রধান। কথা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর্ষার চার মাস এখানে লাল শাপলা ফোটে। লাউয়াল বিল, আইড়াল বিল ও পুরাকুরা বিলের প্রায় ৯০০ বিঘা জমিতে শাপলা ফোটে। লাল শাপলার পাশাপাশি ফোটে সাদা ও বেগুনি শাপলা। তবে এর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তিনি বলেন, পর্যটকদের বিলে ঘোরানোর জন্য ছয়টি নৌকা রয়েছে। এসব নৌকার ভাড়া ঘণ্টায় ৩০০ টাকা। মাঝি মুক্তাকিন জানালেন, আগে এখানে সাদা ও বেগুনি শাপলা ফুটত। এখন আর তা দেখা যায় না। তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিলটিতে এ রকম হাজার হাজার শাপলা ফুটতে দেখছেন। আগে তেমন পর্যটক আসতেন না। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আনাগোনাও বাড়তে থাকল। ধীরে ধীরে নৈঃশব্দ্য ভাবটা উবে গেল পর্যটকদের পদচারণে।

সর্বশেষ খবর