বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

ঢাকার বাইরেও সাত কেন্দ্রে হবে পরীক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আগামীকাল ১ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তিযুদ্ধ। প্রথমবারের মতো এবার ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা। এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০টি। এ হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৪৫ জন শিক্ষার্থী। গতকাল ঢাবির আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর ঢাকার বাইরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ বছর প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরেও বিভাগীয় শহরগুলোর সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এবার শুরু হবে ১১টায়। যাতে শিক্ষার্থীরা সকালে রওনা হয়ে বিভাগীয় শহরে এসে পরীক্ষা দিতে পারেন। পরীক্ষা শেষে দিনে দিনেই বাড়ি চলে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য, কয়েক দফা ভর্তিপরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। এবছর ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ অক্টোবর, খ-ইউনিটের ২ অক্টোবর, চ-ইউনিটের পরীক্ষা ৯ অক্টোবর, গ-ইউনিটের ২২ অক্টোবর ও ঘ-ইউনিটের ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে লিখিত ও এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) দুটো অংশ থাকবে। ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় লিখিত অংশে ৪০ এবং এমসিকিউ অংশে ৬০ নম্বর থাকবে। শুধু চ-ইউনিটের পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে ৪০ এবং অংকনে ৬০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।

উপাচার্য বলেন, যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন, ডিজিটাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থান আছে। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই-জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে। যে কোনো জালিয়াতির প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন উপাচার্য।

সর্বশেষ খবর