করোনাভাইরাস সংক্রমণে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৩ জন ও নারী ১১ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের ৬৪ ভাগের বেশি পুরুষ হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় চারগুণ।
গত এক দিনে ২০ হাজার ৩৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৮১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২.৩৬ শতাংশ, যা সাড়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম ২.৩৩ শতাংশ শনাক্ত হারের তথ্য দেওয়া হয়েছিল গত ২১ ফেব্রুয়ারি। এ নিয়ে টানা ২০ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটোকল অনুযায়ী শনাক্তের হার টানা ২১ থেকে ২৮ দিন ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। সেই হিসেবে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত ভ্যাকসিন কাভারেজ বাড়ানো না গেলে ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিজুড়ে শনাক্তের হার ৪ শতাংশের নিচে থাকলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে জুন, জুলাই ও আগস্টজুড়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ মৃত্যু দেখেছে দেশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ হাজার ৬৮৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৩ জন। নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩.৪৮ শতাংশ শনাক্তের হার ছিল রংপুর বিভাগে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছিল ১ শতাংশের নিচে। অন্য বিভাগগুলোয় শনাক্তের হার ছিল যথাক্রমে ঢাকায় ২.৬৪ শতাংশ, খুলনায় ২.৪৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ২.২০ শতাংশ, বরিশালে ১.৮৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১.৬৭ শতাংশ, ময়মনসিংহে দশমিক ৮৬ শতাংশ ও সিলেটে দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত এক দিনে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২ জন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ৮ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ৩ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ১ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ১ জন ত্রিশোর্ধ্ব ও ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
