বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কভিড হাসপাতালের ৯১ ভাগ শয্যা ফাঁকা

২৪ ঘণ্টায় ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাঁকা হয়ে গেছে দেশের কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ৯১ ভাগ শয্যা। গতকাল হাসপাতালগুলোর ১৩ হাজার ৮১৬টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ছিল ১২ হাজার ৬৯৮টি, ১ হাজার ২৩৭টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা ছিল ১ হাজার ৩৪টি ও ৭০২টি এইচডিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ছিল ৬০৯টি। ৩ মাস আগেও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল হাসপাতালগুলো। সংকটময় সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে অনেক রোগী বাড়িতে বা পথে মারা গেছেন। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৭৬ জনের দেহে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৭ জন। মোট প্রাণহানি হয়েছে ২৭ হাজার ৮৩৪ জনের। সুস্থ ও মৃত বাদে বর্তমানে দেশে শনাক্ত করোনা রোগী রয়েছেন ৮ হাজার ২৪৩ জন, যা হাসপাতালের মোট শয্যার চেয়ে কম। হাসপাতালে ১৫ হাজার ৭৫৫টি কভিড শয্যা থাকলেও চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৪১৪ জন। ফাঁকা রয়েছে ১৪ হাজার ৩৪১টি শয্যা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার ছিল ১.৪৪ শতাংশ। তবে রংপুর বিভাগে শনাক্তের হার ছিল ৪.১৪ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বরিশাল বিভাগে গত একদিনে ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ঢাকায় ১.৫৭ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২.৩৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ১.৮৮ শতাংশ, খুলনায় ১.৭৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সিলেটে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার। সেই হিসাবে বর্তমানে সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে সংক্রমণ সবচেয়ে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে চট্টগ্রামে দুজন, খুলনায় দুজন এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন পুরুষ ও একজন নারী। সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মৃত ছযজনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।

সর্বশেষ খবর