বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে একই পরিবারের ছয় সদস্য দগ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে একই পরিবারের ছয় সদস্য দগ্ধ

চট্টগ্রাম নগরীর কাট্টলী এলাকায়  একটি পরিবারের ছয় সদস্যের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ সবাই বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় প্রত্যেকের শরীরের ৩৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। এর আগে ভবন মালিককে একাধিকবার বলার পরও গ্যাসের লাইন ঠিক বা মেরামত না করায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে অগ্নিদগ্ধ পরিবারের পক্ষ থেকে।

সোমবার দিনগত রাত প্রায় ১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক। তিনি বলেন, একই পরিবারের ছয়জন   অগ্নিদগ্ধ সদস্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন কাট্টলীর ‘মরিয়ম ভিলা’ নামে পরিচিত ১ নম্বর ছয়তলা সাইমুন ভবনের গ্যাস লিকেজের কারণে ওই বাসায় একই পরিবারের ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- সাজেদা বেগম (৪৯), শাহজাহান শেখ (২৫), দিলরুবা বেগম (১৮), স্বাধীন শেখ (১৭), জীবন শেখ (১৪) ও মাহিয়া আকতার (৯)। সাজেদা বেগমের ৮৫ শতাংশ, স্বাধীনের ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে। উক্ত পরিবারের প্রধান জামাল শেখ বলেন, গ্যাসের লিকেজ হয়ে থাকার পর ঘরের ভিতর গ্যাস জমে যায়। সবার অজান্তে মশা মারার একটি ইলেকট্রিক ব্যাটের সুইচ অন করি মশা মারার জন্য। এর পরপরই যে স্পার্ক করেছে তা থেকেই ঘরে জমে থাকা গ্যাস ধপ করে জ্বলে ওঠে। তিনি বলেন, গ্যাস লিকেজের বিষয়টি আমি বেশ কয়েকবার ভবন মালিককে অবহিত করি। কিন্তু তারা কিছু হবে না বলে উড়িয়ে দেন। এরপর আমার ছেলেরাও ভবন মালিককে একাধিকবার জানিয়েছে। ভবন মালিকের জবাব কিছুই হবে না। ভবন মালিক সচেতন হলে এবং গাফিলতি না করলে আমার পরিবারকে আজকের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসকে অগ্নিনির্বাপণ কাজ করতে হয়নি। এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানো হয়। অগ্নিদগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর