বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলদস্যুতায় মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জলসীমা বিল চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাগরে জলদস্যুতার অপরাধে যাবজ্জীবন এবং এ সময় খুনের ঘটনা ঘটলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে ‘রাষ্ট্রীয় জলসীমা এবং সামুদ্রিক অঞ্চল আইন’ বা ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। এ আইনে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে সমুদ্রসম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া বিনা অনুমতিতে রাষ্ট্রীয় জলসীমায় কোনো বিদেশি অনুপ্রবেশ করলে বা কোনো বিদেশি জাহাজে অপরাধ সংঘটিত হলেও অপরাধী গ্রেফতার ও তদন্ত পরিচালনায় এ আইন প্রযোজ্য হবে। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৪তম বৈঠকে ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এ বিলটি পর্যালোচনা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি   মুহাম্মদ ফারুক খান। কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ ও কাজী নাবিল আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিলে বলা হয়েছে- জলদস্যুতা বা সমুদ্রসন্ত্রাসের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এ ছাড়া দস্যুতা করে যা সে লুট করবে তার জন্য জরিমানা হবে। তবে জলদস্যুতা, সশস্ত্র চুরি, সমুদ্রসন্ত্রাস করতে গিয়ে কেউ খুন করলে মৃত্যুদন্ড হবে। কোনো ব্যক্তি জলদস্যুতা বা সমুদ্রসন্ত্রাসে সহায়তা করলে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে ওশান গভর্ন্যান্স, ব্লু ইকোনমি, মেরিটাইম কো-অপারেশন-সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক বিধিবিধান সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে মেরিন সায়েন্টিফিক রিসার্চের পদ্ধতি ও অনুশাসন সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিলে সমুদ্রে সংঘটিত অপরাধের জন্য পৃথক মেরিটাইম ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ভিডিও, ছবি, ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার বিধান রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর