শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে হবে

ডা. মুশতাক হোসেন

জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে হবে

জনস্বাস্থ্যবিদ এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী টিকার বৈষ্যমের কারণে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। যেসব জায়গায় টিকা পৌঁছেনি, সেখানে প্রতিনিয়ত মিউটেশন করছে ভাইরাস। দেশে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে হবে।

গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে চলছে আলোচনা। দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে। সব দেশে সমভাবে টিকা নিশ্চিত করলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে সবার টিকা নিশ্চিত করে এরপর বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আফ্রিকার অনেক দেশ আছে যেখানে এক শতাংশ টিকাও দেওয়া হয়নি। করোনা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাই মিলে সুস্থ থাকতে হবে। কোনো দেশ একা নিরাপদে থাকতে পারবে না। আমাদের দেশে এখন সংক্রমণ হার কম আছে। কিন্তু তাই বলে তো আর আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে পারছি না। স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্যের সুযোগ নেই। ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে আমাদের আগের অভ্যাসে ফিরে যেতে হবে। যারা ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশ থেকে ফিরছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সংক্রমণ কোন ভ্যারিয়েন্টে হচ্ছে সেটা জানা জরুরি। এজন্য সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে হবে। এখানে কোনো কার্পণ্য করা উচিত হবে না। এ খাতে বিনিয়োগ করলে নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অনেক ক্ষেত্রেই শিথিলতা এসে গেছে। এ শিথিলতা রাখা যাবে না। শনাক্ত হওয়া প্রতিটি রোগীকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে ভিড়ের জায়গায় মানুষ যাতে দ্রুত কাজ সারতে পারে সে ব্যবস্থা করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজ করা- এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর