ভুয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পোশাকে আসছে বিশেষ পরিবর্তন। বদলে ফেলা হচ্ছে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট। পুলিশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জ্যাকেটে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড। শিগগিরই ডিবির সব সদস্যকে পৃথক কোড সংযুক্ত করে এ জ্যাকেট দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

জানা গেছে, মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সদস্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তাদের পরিচয় চলে আসবে। আর যদি কোনো ভুয়া ডিবির পোশাকের কোড স্ক্যান করা হয় তাহলে ‘ইনভ্যালিড কিউআর কোড’ নামে একটি বার্তা দেখা যাবে। কিউআর কোড ছাড়াও পোশাকে এমন কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকছে যাতে সহজে জালিয়াতি করা সম্ভব হবে না। পরিবর্তন আনা হচ্ছে পোশাকটির রঙেও। ওই রঙের বিচ্ছুরণ থেকে আসল-নকল পুলিশের পার্থক্য ধরা যাবে।

এমনকি বিশেষ ধরনের কাপড় দিয়ে এ পোশাক তৈরি করা হচ্ছে, যেন এটি বাজারে পাওয়া না যায়।

ডিবি সদস্যদের কবে থেকে এ নতুন পোশাকে দেখা যাবে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) মাসুম রাব্বানী জানান, যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয় জড়িত; আরও এক্সপার্ট মত দরকার আছে।

ডিবির দায়িত্বশীল সূত্র জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশেষ এ পোশাক ডিবি সদস্যদের সরবরাহ করা হতে পারে। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাদের সাধারণ পোশাকের ওপর একটি হাতাকাটা জ্যাকেট পরেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে ওই জ্যাকেট পরে অভিযান পরিচালনা করছেন ডিবি পুলিশের সদস্যরা। তার সামনের দিকে ডানে উই লেখা থাকে। বাঁয়ে থাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগো। পেছনে উই, উগচ লেখা থাকে। সাধারণ ইউনিফর্ম থাকায় প্রতারক ও অপরাধীরা সহজেই এমন ইউনিফর্ম তৈরি করে ভুয়া ডিবি সেজে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণের মতো বড় বড় অপরাধ করছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই পরিবর্তন হচ্ছে ডিবির পোশাক।

কিউআর কোড স্ক্যান করলে যাতে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় দেখা যায় এজন্য ডিবির সব কর্মকর্তার তথ্য আগে থেকেই জমা থাকবে তাদের নিজস্ব সার্ভারে।