বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
তিন দিনেও খোঁজ মেলেনি

মাদরাসাছাত্রের ফোনে মুক্তিপণ দাবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

অপহরণের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অপহৃত মাদরাসাছাত্র নাঈমের (১৩) খোঁজ মেলেনি। এরই মধ্যে কয়েক দফা মোবাইলে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।

২৭ মার্চ বিকালের পর থেকে নাঈমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা নাছরিন খাতুন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছেন। মোবাইলে ছেলেকে নির্যাতনের অডিও শোনাচ্ছেন। আদরের সন্তানকে না পেয়ে পাগলপ্রায় নাঈমের বাবা-মা। ছেলেকে ফিরে পেতে বারবার র‌্যাব-পুলিশের কাছে ছুটে যাচ্ছেন তারা। পুলিশ বলছে নাঈমকে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও মাঠে নেমেছেন। কুষ্টিয়া শহরতলির জুগিয়া মাঠপাড়া গ্রামের দিনমজুর মিল্টন শেখ ও নাছরিন খাতুন দম্পতির সন্তান মো. নাঈম। সে পাশের জুগিয়া পালপাড়া এলাকার লাল মোহাম্মদ হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। নাঈমের মা তিন বেলা মাদরাসায় গিয়ে নাঈমের জন্য খাবার দিয়ে আসেন। সর্বশেষ রবিবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নাঈমের সাক্ষাৎ হয়। এরপর থেকে তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরদিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের মা নাছরিন খাতুন। তবে নিখোঁজের পর থেকেই মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে কিছু টাকা দিয়েছে তার পরিবার। নাঈমের বাবা মিল্টন শেখ জানান, মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করায় তারা চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। ছেলেকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনসহ তারা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এদিকে নাঈম নিখোঁজের পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন মাদরাসায় তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থী নাঈম নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও কাজ করছেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ার্ডন লিডার মো. ইলিয়াস খান বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের গ্রেফতার ও অপহৃত নাঈমকে উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর