ফলের রাজা আম বাজারে এলো। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ই গতকাল থেকে রাজশাহীতে গুটি জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। গুটিকে রাজশাহীতে জাত আম বা স্থানীয় জাত বলা হয়। গুটির পরে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের সঙ্গে অন্য জাতের আমও বাজারে দেখা যাবে পর্যায়ক্রমে।
আম চাষিরা বলছেন, প্রতি বছরই গাছে প্রচুর মুকুল আসে। স্বাভাবিক আবহাওয়া সক্রিয় থাকলে আমের ফলন বেশি হয়। কিন্তু এবার গাছে মুকুল কম এসেছে, তীব্র তাপে ঝরেও পড়েছে। ফলে রাজশাহীতে আমের ফলন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে প্রশাসন বিভিন্ন জাতের আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসন সভা করে জেলায় আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে। প্রশাসনের দেওয়া সময়ানুযায়ী গুটি জাতের আম পাড়ার শুরুর দিন ছিল ১৩ মে। নির্ধারিত সময়েই গুটি আম গাছ থেকে নামাতে শুরু করেছেন রাজশাহীর চাষিরা। গতকাল সকাল থেকে জেলাজুড়ে চাষিরা গাছ থেকে গুটি আম পেড়ে বিভিন্ন বাজারে তোলেন। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম বানেশ্বর বাজারে গতকাল কোনো ব্যাপারী ছিল না। তবে স্থানীয় ফড়িয়ারা কিছু কম দামে আম কিনে মজুদ করছেন আড়তে। এ ছাড়া মৌসুমের প্রথম আম সীমিত পরিমাণে কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল হক বলেন, কয়েক বছর আগে নির্ধারিত সময়ের আগে আম নামিয়ে বাজারে দেওয়ার ফলে রাজশাহীর আমের সুনাম নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসন এ কারণে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়। এবারও করা হয়েছে। নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত হওয়ায় রাজশাহীর আমের সুনাম ও চাহিদা বেড়েছে দেশব্যাপী।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগর এবং ৯টি উপজেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন।
