ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে এটা পরিষ্কার যে, কোথাও কারসাজি হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকও সঠিকভাবে দেখভাল করেনি। মানি চেঞ্জারগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হলেও নেই কোনো মনিটরিং। এখানে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি বলেন, বহুমুখী সংকটে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কিন ডলারের দাম এখন আকাশচুম্বী। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে। আমদানিপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। প্রতিনিয়ত শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ফলে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, ডলার সংকট মেটাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্পগুলো সচল রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। আমদানির ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে বিদেশে কর্মী প্রেরণ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের উচিত হবে কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিদেশে কর্মী পাঠানো। সব প্রবাসী আয় যেন বৈধভাবে আসে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করতে হবে। এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী আমদানি হওয়া পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও এর প্রভাবে শুল্ক বৃদ্ধি, শিপিং খরচ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে উৎপাদন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে গেছে। যার প্রভাব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি জনগণকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করছে। একইভাবে রপ্তানি শিল্পে উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কষ্টকর হচ্ছে। এতে রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। যার নেতিবাচক প্রভাব ব্যালেন্স অব পেমেন্টে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সঞ্চয় কমে যাওয়ার ফলে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। এতে ব্যাংকিং খাতের অর্থপ্রবাহে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাকে বিবেচনা করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির প্রভাব জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। অর্থনীতির উন্নয়নের চলমান ধারাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির ওপর পড়বে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে