অবৈধ অর্থাৎ অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। বেঁধে দেওয়া সে সময় শেষ হচ্ছে আজ। এর মধ্যেও যেসব অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশের পর হবিগঞ্জ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইলসহ ১৫ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৮২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা ও সতর্কও করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। ৭২ ঘণ্টা শেষ হলে আমরা বসব। নিবন্ধনের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, অবৈধ কতগুলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে আমরা তা দেখব। এরপর সে অনুযায়ী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ব্যবস্থা নেব।’
এ পর্যন্ত কতগুলো ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘রবিবার (আজ) পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের পর সে তথ্য আমরা জানিয়ে দেব। সারা দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে সে ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি এতগুলো আবেদন এসেছে, এতগুলো লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, এতগুলো অপেক্ষমাণ আছে। তবে যারা আবেদনই করেনি তাদের তথ্য আমরা জানব কী করে?’ তালিকা ছাড়া অভিযান কোন উপায়ে পরিচালনা করা হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধগুলোর নির্দিষ্ট তালিকা না থাকলেও বৈধদের তালিকা জেলা সিভিল সার্জনদের কাছে রয়েছে। এর বাইরে যেগুলো রয়েছে সেগুলোর সম্পর্কে অবশ্যই সিভিল সার্জন বলতে পারেন। সে অনুযায়ী আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে।’ বুধবার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
