রবিবার, ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

যুবকের বাড়ি থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীতে পরিবারের অভিযোগ পেয়ে এক যুবকের ঘর থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর ৪টার দিকে উপজেলার কোড়কদী ইউনিয়নের মোল্লাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আফসার শেখের বাড়িতে তার ছেলে রাজমিস্ত্রি সাব্বির হোসেনের (২২) ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। কিশোরীর নাম পন্নি খাতুন (১৪)। সে একই ইউনিয়নের খোদাবাসপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক জিল্লুর রহমান মোল্লার মেয়ে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে পন্নি সবার বড়। সে স্থানীয় রামদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। জানা গেছে, সাব্বিরের বাড়ি থেকে পন্নির বাড়ি একই ইউনিয়নে তবে দুই গ্রামের মধ্যে অনুমানিক দূরত্ব ২ কিলোমিটার।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির গত ২ জুন ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তার বাবাকে বলেন, ‘আমি পন্নিকে ভালোবাসি। ওকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে।’ কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে খুব ছোট, পড়াশোনা করছে করুক, পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যাবে। তখন সাব্বির হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এর ফল ভালো হবে না।’ পন্নির চাচাত নানা দাউদুর রহমান বলেন, গত ৬ জুন সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয় পন্নি। সারা রাত আশপাশের বাসায় খুঁজে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার তারা নিশ্চিত হন পন্নিকে সাব্বিরের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। রাত ১২টার দিকে পুলিশ সাব্বিরের বাড়িতে অভিযান চালায়। সাব্বিরের বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজনের অসহযোগিতা ও প্রতিরোধের এক পর্যায়ে ভোর ৪টার দিকে সাব্বিরের ঘর থেকে মৃত পন্নিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সাব্বিরের বাবা ও ভাই পালিয়ে যান। পুলিশ সাব্বির ও তার মাকে আটক করে। ওই ঘর থেকে মৃত পন্নিকে উদ্ধারের সময় তার শরীর তখনো গরম ছিল। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অভিযানের অল্প কিছুক্ষণ আগেই পন্নিকে হত্যা করা হয়।

মধুখালী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা যখন জানতে পারেন কিশোরী সাব্বিরের বাড়িতে আছে, তখন পন্নির ফুপা ও মামা সাব্বিরের বাড়িতে যান। পন্নি তাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেন। যেহেতু পন্নির বয়স কম, তাই তার বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য শুক্রবার রাতে থানায় আসেন। তারপর পুলিশ সাব্বিরের বাড়িতে অভিযান চালায়। পন্নিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বিছানায় শোয়া অবস্থায়। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে গলার দাগ দেখে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

সর্বশেষ খবর