বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার জ্বালানি খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোনো কাজ করেনি। হাত গুটিয়ে বসে থাকায় বর্তমানে এই জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সুজনের নির্বাহী সদস্য রোবায়েত ফেরদৌস, পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও লেখক বিডি রহমতুল্লাহ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, জ্বালানিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ ও অরুণ কর্মকার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, সরকার ইচ্ছা করেই দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে নজর  দেয়নি। বর্তমান জ্বালানি সংকট আকস্মিক নয়। নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতা তৈরির বদলে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের গ্যাসক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা থাকার পরও উত্তোলন না করে একটি গোষ্ঠীকে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে ড. বদরূল ইমাম বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যথেষ্ট সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জ্বালানির অভাব থাকায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না। ফলে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে অনেক হিসাব করে সংসার চালাতে হচ্ছে। আনু মুহাম্মদ বলেন, জ্বালানি খাতের ওপর দেশের জনগণের মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত না হলে ওই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয় না। বাংলাদেশে বিদ্যমান জ্বালানি সংকটের কারণেই দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। ভর্তুকি মেটানোর জন্য ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো হবে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, জল-জমি-জঙ্গল এ তিনটি বাদ দিয়ে আমরা বাঁচতে পারব না। তাই প্রাণ-প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করে আমরা বিদ্যুৎ চাই না। তাই নবায়নযোগ্য জ¦লানি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া দরকার। এর খরচও কম। সরকার চাইলে শতভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সম্ভব।

 

সর্বশেষ খবর