মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
কাপ্তাই হ্রদ

মাছের বাম্পার আহরণ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

মাছের বাম্পার আহরণ

মাত্র ১১ দিনে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার আহরণ হয়েছে। ছাড়িয়েছে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড। বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের মাছের উৎপাদন। ১৮ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার পর বৃদ্ধি পায় উৎপাদন। গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় দিগুণ, বলছে বিএফডিসি। রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, প্রথম ১১ দিনে মাছ আহরণ হয় প্রায় ১ হাজার ৯৯ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন। আর রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। যা গেল বছরের তুলনায় দিগুণ। ২০২১-২২ সালে প্রথম ১১ দিন রাজস্ব আদায় হয় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর মাছ উৎপাদন হয় ৮৭৬ দশমিক ৭৪ মেট্রিক টন। রাঙামাটি বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। যা দেশের মিঠা পানির মাছের ভা র হিসেবে পরিচিত। এ হ্রদ থেকে আহরিত মাছ রপ্তানি করা হয় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার সুফল ভোগ করে এ অঞ্চলের ২২ হাজার মৎস্যজীবী। তাই প্রতি বছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তিন মাস যাতে কাপ্তাই হ্রদে মাসের সুষ্ঠু প্রজনন হতে পারে। মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাফুজ বলেন, বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছের উৎপাদন বেড়েছে। কাপ্তাই হ্রদে মাছ উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলে মাছের ওপর নিভর্রশীল লাখো মানুষের দারিদ্রতা দূর হতে খুব একটা সময় লাগবে না। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের জেলা ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তারের কারণে বাম্পার আহরণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে তার জন্য বিএফডিসির সব কর্মকর্তার কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মাছ আহরিত হয়। আরও বেশি মাছ উৎপাদন হতো যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি আর হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেত। কিন্তু এ বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি কম থাকায় মাছ উৎপাদন তেমন হচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর