রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভিয়েতনামের নারকেলে বাজিমাত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ভিয়েতনামের নারকেলে বাজিমাত

ভিয়েতনামের দ্রুত বর্ধনশীল খাটো জাতের নারকেল বাগান গড়ে উঠেছে পটুয়াখালী জেলার উত্তাল আগুনমুখার তীরে। পটুয়াখালী শহর থেকে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দূরে বাগানটি গড়ে তুলেছেন কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের মাসুদ চৌকিদার। এক একর জমিতে বাগান করে ইতোমধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে চারা ও নারিকেল বাজারজাত করে পেয়েছেন সফলতা। আর এই বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার আশপাশের মানুষসহ অন্য উপজেলার মানুষও। বাগানটি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলে নারকেল চাষাবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভিয়েতনামের দ্রুত বর্ধনশীল খাটো জাতের নারিকেল সিয়াম ব্লু ও সিয়াম গ্রিন-এর ১০০টি নারিকেল চারা মাসুদ চৌকিদারকে দেয়। প্রথম পর্যায়ে ২৪টি চারা রোপণ করেন। পরে তিন কিস্তিতে মোট ১০০ চারা রোপণ করেন। রোপণের আড়াই বছরের মধ্যেই গাছগুলোতে নারিকেল আসে। বর্তমানে বাগানে প্রতিটি গাছে ১৫০ থেকে ২০০টি ফল আছে। ইতোমধ্যেই দেড় হাজার চারা পাঁচশ টাকা করে বিক্রি করেছেন। মাসুদ চৌকিদার জানান, সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে সব গাছেই নারিকেল হয়। সব ধরনের মাটিতেই এ গাছ লাগানো সম্ভব। বাগানটি শুরু করতে দেড় লাখ টাকা খরচ করলেও এখন আমি ৫ লাখ টাকা লাভবান। পাশের গ্রামের রব্বানি হাওলাদার বলেন, মাসুদ ভাই যখন প্রথম নারিকেলের চারা এনে বাগান শুরু করেছেন তখন বিশ্বাস করিনি মাত্র আড়াই বছরেই গাছে ফল ধরবে। এখন গাছ ভরা ফুল আর নারিকেল দেখলে পরান জুড়িয়ে যায়। ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে এটাই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে ভিয়েতনামের খাটো জাতের নারিকেলের বাগান। উচ্চ ফলনশীল এ জাতীয় নারিকেলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। দক্ষিণাঞ্চল এ জাতের নারিকেল চাষে উপযুক্ত স্থান। দক্ষিণাঞ্চলে যেহেতু প্রকৃতিগতভাবে পানি উঠানামা করে, ক্লোরিন, সালফার ও পটাস এ অঞ্চলের মাটিতে আছে, তাই নারিকেল বাগান করতে শুধু জৈবসার ব্যবহার করলেই হয়।

সর্বশেষ খবর