শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিশুকে চেয়ারে বেঁধে সিগারেটের ছ্যাঁকা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে মিথ্যা অপবাদে জাকির হোসেন নামে এক শিশুকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে গ্লাস দিয়ে চামড়া টেনে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার চার দিনেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে দেয়নি অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আলমগীর হোসেন ছয়জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক তারেক আজিজ মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে লক্ষ্মীপুর সদর মডলে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ তিতু। আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার চররমণী ইউনিয়নের চররমণী গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে গোফরান ও তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন, বাদশা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন, আবুল কালাম ফরাজির ছেলে মনির, কালাম ভূঁইয়ার ছেলে মাকছুদ আলম ও মৃত মজিবুল হকের ছেলে শাহ আলম। ভুক্তভোগী শিশু জাকির একই ইউনিয়নের মধ্য চররমণীমোহন গ্রামের আলমগীরের ছেলে। মামলাসূত্রে জানা যায়, শিশুর বাবা আলমগীরের সঙ্গে আসামিদের পারিবারিক বিরোধের জেরে মঙ্গলবার সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত শাহ আলমের ঘরে শিশু জাকিরকে চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ সময় অভিযুক্ত দেলোয়ার ও তার বাবা গোফরান জাকিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্লাস দিয়ে টেনে সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন, হাতের আঙুলে সুই দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন ও হত্যার চেষ্টা চালান। পরে শিশুটির চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় শিশুটি গোপনে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, ‘আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য থানায় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর