একান্ত সাক্ষাৎকারে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেছেন, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ তৃণমূল থেকে দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ৭০ ভাগ কাজ এগিয়ে নিয়েছি।
রাজপথের লড়াইয়ের পাশাপাশি বাকি কাজগুলোও দ্রুততার সঙ্গে চলছে। সামনের আন্দোলন-সংগ্রামসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। দেশের সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি বা আমরা কেউ ভালো নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সার্বিকভাবে দেশ ভালো নেই। ভালো আছে শুধু বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের গুটিকয়েক নেতা। কারণ তারা যে হারে লুটপাট করেছে, তাতে তারাই ভালো রয়েছে। সরকার চরমভাবে ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকার সমস্ত অধিকার হারিয়েছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা একেক সময় একেক কথা বলে যাচ্ছেন। তারা সকালে এক কথা, বিকালে আরেক কথা এবং রাতে অন্য কথা বলছেন। তারা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে দমন-পীড়ন নীতিসহ যা খুশি তাই করছেন। একদলীয় বাকশালী কায়দায় রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। আমরা এর অবসান চাই। জনগণের দাবি আর আমাদের দাবি এখন একাকার। ‘শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ঐক্যবদ্ধ’ দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যেও অনেক বিবেকবান মানুষ আছেন, যারা এ সরকারের কর্মকান্ড পছন্দ করছেন না। সে কারণে আমরা এ সরকারের কোনো কথাই আর বিশ্বাস করি না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করব। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি আন্দোলনে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ভোট করতে হলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার। সেক্ষেত্রে বর্তমান সরকার প্রতিটা ক্ষেত্রে অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন যে প্রক্রিয়ায় করেছে, তাতে প্রত্যেকটা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা নির্বাচন করব কি না, সেটা পরের কথা। আগে এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ‘এ সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নিরপেক্ষ সরকার যে কোনো নামেই হোক- মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিদায় করে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। পরে হবে নির্বাচন।
জেলায় দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৩ উপজেলায় দলের ২১টি ইউনিটের মধ্যে ১৫টির সম্মেলন শেষ হয়েছে। বাকি ছয়টির মধ্যে তিনটির প্রস্তুতি রয়েছে। খুব শিগগিরই জেলা সম্মেলন করা হবে। দলে তেমন কোনো গ্রুপিং নেই। তবে পদ-পদবি বা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা বড় দলে কমবেশি থাকেই। সম্মেলন বা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হলে এসব সমস্যা থাকবে না।