মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মুক্ত খেরসনে উল্লাস

শহর ঘুরে জেলেনস্কি বললেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে

প্রতিদিন ডেস্ক

রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর খেরসন শহর পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পূর্ব  ঘোষণা ছাড়াই তিনি গতকাল সেনাদের সঙ্গে শহরটির কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে যান। এ সময় তিনি যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়ার বিচার করার কথা বলেন এবং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং মিত্রদের ধন্যবাদ জানান। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স

খবরে বলা হয়, খেরসন রাশিয়ার দখলদারমুক্ত হলেও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে শহরটি পরিদর্শন করেছেন জেলেনস্কি। সেখানকার সেনাদের তিনি বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, আমরা শান্তির জন্য প্রস্তুত, পুরো দেশের শান্তির জন্য।’

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে তারা যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে, খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী এটি। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এই শহরটির অবস্থান। খেরসন রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ এটি। ক্রিমিয়ায় থাকা রাশিয়ার গোলাবারুদ, ট্যাংক এবং সেনা খেরসন হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করত।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৪০০-এর বেশি যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেন তিনি। গত রবিবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। জেলেনস্কি বলেন, খেরসনে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে ঢুকতে পেরেছে এবং নৃশংসতা চালিয়েছে, সেই একই ধরনের নৃশংসতার চিহ্ন খেরসনেও রেখে গেছে তারা। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর